পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা হামলায় দু'জনের কারাদণ্ড, খালাস ৬
বাংলাদেশের রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে ২০১৫ সালে পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ- জেএমবির দুই সদস্যকে কারাদণ্ড এবং ছয় জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের একজনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, অপর আসামিকে দেওয়া হয়েছে সাত বছর। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ছয়জনকে খালাস দেয় আদালত।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আজ (মঙ্গলবার) এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আরমান ওরফে মনিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কবির হোসাইন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিফকে দেওয়া হয়েছে সাত বছরের কারাদণ্ড। এ ছাড়া চার্জশিটভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে ছয়জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন—আবু সাঈদ ওরফে সালমান, রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজীব, চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসানউল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালাল।
বাকি দুই আসামি নাবালক হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে চলমান। এই দুজনের নাম জাহিদ হাসান ও মাসুদ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর তাজিয়া মিছিলের জন্য পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে হোসাইনী দালান ইমামবাড়ায় সমবেত হলে জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা হোসেনি দালানে বোমা হামলা চালায়। এতে দু'জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। ওই ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১০ জঙ্গির নামে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপরের বছর ৩১ মে ১০ জঙ্গির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।আসামিরা ছিলেন—কবির হোসেন, রুবেল ইসলাম, আবু সাঈদ, আরমান, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাসুদ, শাহ জালাল, ওমর ফারুক, চাঁন মিয়া, জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানা।
আসামিদের মধ্যে আরমান, রুবেল ও কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আবদুল্লাহ বাকি ওরফে নোমান ছিলেন হোসেনি দালানে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। হামলার আগে ১০ অক্টোবর তাঁরা বৈঠক করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৫