কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির: আইন-শৃংখলা পরিস্থতির অবনতিসহ এবার পর্যটনশিল্পে ধ্বস নামার আশঙ্কা
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i107558-কক্সবাজারে_রোহিঙ্গা_শিবির_আইন_শৃংখলা_পরিস্থতির_অবনতিসহ_এবার_পর্যটনশিল্পে_ধ্বস_নামার_আশঙ্কা
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কারনে আইন-শৃংখলা পরিস্থতির অবনতিসহ এবার পর্যটনশিল্পের জন্য নতুন ধরনের হুমকি দেখা দিয়েছে।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
মে ০৫, ২০২২ ২০:৫৭ Asia/Dhaka

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কারনে আইন-শৃংখলা পরিস্থতির অবনতিসহ এবার পর্যটনশিল্পের জন্য নতুন ধরনের হুমকি দেখা দিয়েছে।

বুধবার ঈদের দিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ শহরের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ৪৫০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে পুলিশ। এসব রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সমুদ্রসৈকতে ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে গেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। বুধবার সকাল থেকে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।

এরই মধ্যে সকাল থেকে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে দলবেঁধে রোহিঙ্গাদের ঘুরতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমান তারা। খবর পেয়ে বিকালে সৈকতের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪৫০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করে পুলিশ। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে এসেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‌‘সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে দলবেঁধে রোহিঙ্গারা ঘোরাঘুরি করছে এমন খবর পেয়ে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের একাধিক টিম বিভক্ত হয়ে অভিযান চালায়। এ সময় লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৪৫০ রোহিঙ্গাকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে এসেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এখন ঈদ মৌসুমে  কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক অবস্থান করছেন। তাদের নিরাপত্তার একটা বিষয় রয়েছে। ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা সৈকতে ঘুরলে আসায় পর্যটকদের মনে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্প থেকে এভাবে রোহিঙ্গারা বের হতে সৈকতে ঘুরতে আসার অনুমোদন নেই  তিনি আরও বলেন, ‘আটক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। পরে তাদেরকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আটক রোহিঙ্গারা কীভাবে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে ঘুরতে এসেছেন সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেছেন, এভাবে ব্যাপক হারে রোহিঙ্গাদের  অবাধে  ঘোরাফেরার কারনে স্থানীয় বাসিন্দা সহ বেড়াতে আসা পর্টকদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। এটা বন্ধ  করতে না পারলে পর্যটন শিল্পের জন্য  আরও বড় সমস্যা হতে পারে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো চারিদিকে কাঁটা তারের বেড়া স্থাপন করে আর্মড পুলিশের পাহাড়া বসানো হলেও তাদেরকে ক্যাম্পে  আটকে  রাখা সম্ভব হচ্ছে না ।এর আগেও বিভিন্ন  সময়ে ক্যাম্প থেকে গোপনে বের হয়ে  বাইরে  কাজের সন্ধান করতে  গিয়ে বা অপরাধ মূলক বাজ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে আনেক রোহিংগ্যা । তবে এবারই  উৎসবের দিন এত বিপুল সংখ্যক রোহিংগ্যা নারী-পুরুষ শিশু গ্রেপ্তার  হয়েছে। ##

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/বাবুল আখতার/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।