বরিশালে বাস দুঘর্টনায় ১১ যাত্রী নিহত: তদন্ত কমিটি গঠন
বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলীয় জেলা বরিশালের উজিরপুরে দ্রুত গতিতে চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী নৈশ কোচের চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারনে দুঘর্টনায় নিহত হয়েছেন ১১ জন যাত্রী। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো ত্রিশ জন। আজ রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বামরাইলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যমুনা লাইন পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি গাছে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ ১১ জন নিহত হন। আহত ২০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ দুপুর নাগাদ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় এবং একজন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। আহত ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ৩ জন উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
তদন্ত কমিটি গঠন
বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবে। এছাড়াও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত যাত্রিদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বিভাগীয় কমিশনার স্যার হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছেন এবং নিহতদের লাস পরিবহন এবং দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে
ইতোমধ্যে বাস দুঘর্টনায় নিহত ১০ জনের সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন-ঝালকাঠি ওজলা সদরের নেয়ড়ী এলাকার মনির হোসেন হাওলাদারের ছেলে আরাফাত হোসেন হাওলাদার (৯), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর ভেচকি এলাকার কুদ্দুস আকনের ছেলে নজরুল ইসলাম আকন (৩৫) ও একই উপজেলার ভেচকি এলাকার রাকিব আকনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (২০)।
এছাড়াও রয়েছেন, বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাজিরবাদ এলাকার মোবারক আলী বেপারীর ছেলে হালিম মিয়া (৩১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার সুতারকান্দা এলাকার মৃত আওলাদ আলীর ছেলে সেন্টু মোল্লা (৫০), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার সুন্দরকাঠি গ্রামের মৃত আবুল কাশেম হাওলাদারের ছেলে রমজান হাওলাদার (৩৮) ও বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মুন্ডুপাশা গ্রামের মনোরঞ্জন শীলের ছেলে মাধব শীল (৪৫)।#
পার্সটুডে/ আব্দুুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।