ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i110518-ওয়েস্ট_ইন্ডিজকে_উড়িয়ে_ওয়ানডে_সিরিজ_জিতল_বাংলাদেশ
স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ক‍্যারিবীয়দের কাছে বিধ্বস্ত হলেও ওয়ানডেতে টানা দ্বিতীয় জয় পেল টাইগাররা।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
জুলাই ১৪, ২০২২ ০০:৩৫ Asia/Dhaka
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ক‍্যারিবীয়দের কাছে বিধ্বস্ত হলেও ওয়ানডেতে টানা দ্বিতীয় জয় পেল টাইগাররা।

আজ (বুধবার) গায়ানার প্রভিডেন্স পার্ক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সফরকারীদের সামনে ১০৯ রানের লক্ষ্য দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে এক উইকেট হারিয়ে ১৭৬ বল হাতে রেখে বিশাল জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা। ওয়ানডেতে এ নিয়ে পঞ্চমবার ৯ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ, চলতি বছর দ্বিতীয়বার। 

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের অনবদ্য বোলিং নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা অলআউট হয় মাত্র ১০৮ রানে। দুই ওপেনার শেই হোপ ও কাইল মেয়ার্স ১০ ওভার টিকে থেকে ওভারপ্রতি তিনের নিচে রান তুলছিলেন। অবশ্য ১০ ওভারের আগেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙার সুযোগ এসেছিল।  মিরাজের বলে হোপকে আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেন কিপার নুরুল হাসান সোহান। ক্যাচ ও স্টাম্পিং হাতছাড়া করেন তিনি।

৪ রানে জীবন পেয়েও তা আর কাজে লাগাতে পারেননি হোপ। আরেক ওপেনার মেয়ার্স বিপজ্জনক হওয়ার আগেই তাকে ছেঁটেছেন তাসকিন আহমেদের বদলে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মোসাদ্দকের হালকা টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে ঠিক আগের ম্যাচের মতই অফ স্টাম্প খুইয়েছেন মেয়ার্স।

দুই ওভার পরই ব্রোকসকে বোল্ড করে উইকেট নেওয়া শুরু নাসুমের। ১৮তম ওভারে তিনি থামিয়ে দেন থিতু হতে থাকা হোপকে। ওই ওভারে নেমেই প্রথম বলে নাসুমের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক পুরান। উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দারুণ আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের শ্বাস বন্ধ করে দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করেন এই বাঁহাতি।

রভম্যান পাওয়ালের সঙ্গে মিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেননি ব্র্যান্ডন কিংও। পাওয়াল ঝড় তুলতে পারেননি শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে দেওয়ায়। কিং পরে বোল্ড হয়ে যান মিরাজের বলে। আকিল হোসেন শিকার হন রানআউটের। আগের ম্যাচে শেষ দিকে কিছু রান এনে দেওয়া রোমারিও শেফার্ডকে এবার বাড়তে দেননি মিরাজ। আলজেরি জোসেফকেও ছাঁটেন তিনি।

এক পাশে উইকেট পতনের মাঝে একা চালিয়ে রান বাড়ান কেমো পল। দলকে তিন অঙ্ক পার করান তিনিই। তবে তার একার পক্ষে আর বেশিদূর টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। গুডাকেশ মুটিকে এলবিডব্লিউ করে ইনিংসও মুড়ে দেন মিরাজ।

বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ নেন চারটি আর নাসুম নেন তিনটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।

লক্ষ্য টপকাতে নেমে ওপেনিং জুটিতে কিছুটা পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ দল। এদিন ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন ভুলে লিটন দাসের পরিবর্তে তামিমের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সুযোগ পেয়েও নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি এই বাঁহাতি। উদ্বোধনি জুটিতে ৪৮ রান যোগ করার পর ব্যক্তিগত ২০ রানে গুদাকেশ মটির বলে আকিল হোসাইনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত।

এরপর দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি তামিম। তিনে নামা লিটনকে নিয়ে জয়ের বাকি পথ পাড়ি দেন অধিনায়ক। যদিও শঙ্কা জেগেছিল তার ব্যক্তিগত ফিফটি পাওয়া নিয়ে। দলের জয়ের জন্য ১ রান প্রয়োজনের সময় ৪৬ রানে ব্যাট করছিলেন তামিম, সেই শঙ্কা উড়িয়ে মটিকে স্ট্রেট ড্রাইভ করে চার মেরে ৬২ বলে ৭ চারে অর্ধশতক পূর্ণ করার পাশাপাশি দলকে ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসান তামিম। 

৯ উইকেট ও ১৭৬ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে লিটন অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩২ রানে। যেখানে ৬টি চার মারেন এই ডানহাতি।

বল হাতে ১০ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৯ রানে তিন উইকেট নিযে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পান বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।