উখিয়া ক্যাম্পে ২ রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি করে হত্যা
-
রোহিঙ্গা ক্যাম্প, উখিয়া।
বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে দুই রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির হেড মাঝি ছিলেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) রাত পৌনে ১২টার দিকে পালংখালী ইউনিয়নের ১৫ নম্বর জামতলী ক্যাম্পের সি-ব্লকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শিহাব কায়সার খান জানান।
নিহতরা হলেন- ওই ক্যাম্পের সি-ব্লকের আব্দুর রহিমের ছেলে আবু তালেব এবং সি/৯ সাব-ব্লকের ইমান হোসেনের ছেলে সৈয়দ হোসেন হোসেন (৩৫)। তালেব সি ব্লকের হেড মাঝি এবং হোসেন তার সাব-ব্লকের মাঝি ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ কর্মকর্তা শিহাব কায়সার বলেন, “মঙ্গলবার মধ্যরাতে সি-ব্লকের পাহাড়ি ঢালে এক ঘরের সামনে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী এসে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ সময় সেখানে থাকা তালেব ও হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।”
তালেবকে সেখান থেকে কুতুপালংয়ের এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর তাকেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এপিবিএন অধিনায়ক বলেন, “স্থানীয় কয়েকজন রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীর সঙ্গে তালেব ও হোসেনের বিরোধ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেই শত্রুতার জেরে তাদের হত্যা করা হয়েছে।”
হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার।
এদিকে, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, আজ (বুধবার) ভোররাতে নিহত দুই রোহিঙ্গা নেতার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশ। দুজনের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে
ইতোপূর্বেও দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে বিভিন্ন ক্যাম্পের কয়েক মাঝি নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছেন আরও কয়েকজন। ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির মাঝিদের নেতৃত্বে ব্লকে ব্লকে ক্যাম্প পাহারাদল স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছে। এতে মাদক, অস্ত্র ও অপহরণ বাণিজ্যে জড়িত রোহিঙ্গা অপরাধীরা অপকর্ম করতে বেকায়দায় পড়ছেন। এসব কারণে ভীতি সঞ্চার করতে অপরাধী চক্র মাঝিদের হত্যা করে বলে পুলিশের ধারনা।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।