অবশেষে চা শ্রমিকদের আন্দোলন প্রত্যাহার: মজুরি বাড়ল ২৫ টাকা
বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে দিতে রাজি হবার পর আন্দোলনে থাকা শ্রমিকরা তদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
আজ শনিবার শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। এর আগে তিনশ টাকা মজুরির দাবিতে অষ্টম দিনের মতো আজও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। ধর্মঘটের অষ্টম দিনে আজ শনিবার বেলা তিনটায় সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নিপেন পাল ধর্মঘট প্রাত্যাহারের ঘোষণা দেন। নিপেন পাল বলেন, চা-শ্রমিকদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে সরকারের এই প্রস্তাব শ্রমিকেরা মেনে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব নিয়ে গত জুনে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদের বৈঠক বসে। কিন্তু, মালিকপক্ষ ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা মজুরির প্রস্তাব দিলে শ্রমিক নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর আরও এক মাস পার হলেও মালিকপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত জানায় নি। এর প্রতিবাদে ৯ থেকে ১২ আগস্ট টানা চার দিন প্রতি দিন দুই ঘণ্টা করে ধর্মঘট পালন করা হয়। তারপরও মালিকপক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে ১৩ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সব চা বাগানে শুরু হয় শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি।
আন্দোলন চলা অবস্থায় গত বুধবার মালিপক্ষ ২০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব করলে শ্রমিক নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করে ধর্মঘট অব্যাহত রাখেন। এরপর আজ শনিবার সরকার তাঁদের মজুরি আরও পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা ঘোষণা দিলে ধর্মঘট থেকে সরে দাঁড়ান শ্রমিকরা।
আজ বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুস শহীদ, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানসহ হবিগঞ্জ, সিলেট ও চটগ্রামের জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।#
পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।