শ্রীমঙ্গলে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে চা-শ্রমিকদের বিক্ষোভ
(last modified Wed, 24 Aug 2022 14:14:37 GMT )
আগস্ট ২৪, ২০২২ ২০:১৪ Asia/Dhaka
  • শ্রীমঙ্গলে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে চা-শ্রমিকদের বিক্ষোভ

চা শ্রমিকদের দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলমান ধর্মঘটের ১২তম দিনে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চা-শ্রমিকেরা। (আজ বুধবার) বেলা তিনটা থেকে উপজেলার সাতগাঁও চা–বাগানের চা কারখানার সামনের মহাসড়কে তাঁরা অবস্থান নেন।

কর্মসূচিতে সাতগাঁও, দিনারপুর, মির্জাপুর, বৈলাছড়া, বৌলাশী, ক্লোনেল, সাইফ, ইছামতি, মাকড়িছড়াসহ বিভিন্ন চা–বাগানের হাজারের বেশি শ্রমিক সড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। আজ শ্রীমঙ্গলের ৩৯টি চা–বাগানে কাজ বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকেরা। সকালে জেরিন চা–বাগানে কাজ শুরু হলেও পরে তাঁরা কাজ বন্ধ করে ফিরে যান।

সাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চা-শ্রমিক শাত্ননা বাড়াইক গনমাধ্যমকে ধ্যমকে  বলেন, ‘আমরা পেটের দায়ে ১৬ দিন ধরে আন্দোলন করছি। ১২০ টাকায় খাওয়াদাওয়া, লেখাপড়া কিছুই হয় না। বিভিন্নজন এসে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নাকি আমাদের কাজ করতে বলেছেন। তিনি নাকি বিদেশ থেকে ফিরে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। ডিজিটাল দেশে সরকারের প্রতিনিধির কাছ থেকে মিথ্যা কথা শুনতে হচ্ছে। আমরা টেলিভিশনে দেখছি, প্রধানমন্ত্রী দেশে। তাহলে কেন আমাদের সঙ্গে মিথ্যা বলা হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শুনে কাজে ফিরব। তিনি একটা ঘোষণা দিলেই শ্রমিকেরা কাজে ফিরবেন।’

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরের চা-শ্রমিকেরা মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে  উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে আগত  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ও মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য শাহাব উদ্দিন বিক্ষোভ স্থলে যান। তিনি তিন দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ধামাই, শিলঘাট ফাঁড়ি, সোনারুপা, পুঁচি ফাঁড়ি, আতিয়াবাগ, শিলুয়া ও রাজকি চা-বাগানের অন্তত দুই হাজার শ্রমিক মিছিল নিয়ে এম এ মুমিত চত্বরে জড়ো হন। একপর্যায়ে তাঁরা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। এ সময় ‘এক দফা, এক দাবি, ৩০০ টাকা মজুরি’, ‘মজুরি নিয়ে টালবাহানা, চলবে না, চলবে না’, ‘সরকার নীরব কেন, জবাব চাই-জবাব চাই’, ‘গরিবের পেটে লাথি মারা, চলবে না, চলবে না’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকেন শ্রমিকরা। তাঁদের অবরোধের কারণে সড়কের দুই পাশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা দেয়।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ