দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মানবতাবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত সরকার- ফখরুল
বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দাবি করেছেন, দেশে কোনো মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে না। সদ্য বাংলাদেশ সফরকারি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের প্রতিবেদনে তা প্রমাণিত হয়েছে।
বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দাবি করেছেন, দেশে কোনো মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে না। সদ্য বাংলাদেশ সফরকারী জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের প্রতিবেদনে তা প্রমাণিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইনার হুইল ক্লাব আয়োজিত ‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটি দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মিচেল ব্যাচেলেটের এ পর্যবেক্ষণই প্রমাণ করে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। এ নিয়ে অনেকেই ষড়যন্ত্র করছেন, বিদেশে অবস্থান করে অবান্তর কথা বলছেন ।
র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতিসংঘের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র শর্ত সাপেক্ষে ভিসা প্রদান বাংলাদেশের জন্য অবমাননাকর।
আজ শনিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিসহ দেশের প্রায় সকল গণতান্ত্রিক দল এই সরকারের হিংস্র আচরণ নিয়ে কথা বলে আসছে। ইতোমধ্যেই আমাদের দেশের অসংখ্য নেতাকর্মীকে এ সরকার গুম করেছে, ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে, বিনাবিচারে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করেছে। দেশে কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, মিটিং মিছিল করার কোনো অধিকার নেই। বিনা অনুমতিতে কোনো সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয় না। গণমাধ্যমগুলোর ওপর একটা সেলফ সেন্সরশিপে বাধ্য করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষের কথায় কর্ণপাত করাতো দূরে থাকুক এমনকি জাতিসংঘের মতো বিশ্বের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য শক্তিশালী সংস্থার পক্ষ থেকেও বার বার উদ্বেগ ব্যক্ত করা হলেও সরকার সে সবের তোয়াক্কা করছে না। হত্যা, গুম-খুন তারা চালিয়েই যাচ্ছে।
মানবাধিকার লংঘনের সর্বশেষ ঘটনা প্রবাহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার তাদের হিংস্র, মানবতাবিরোধী অপতৎপরতা চালিয়েই যাবে বিশ্ব বিবেক ও মতামতকে তোয়াক্কা না করে। ইতোমধ্যে ভোলায় গুলি করে দুই জনকে হত্যা, ঢাকা ও কুমিল্লায় পুলিশের হেফাজতে দু’জনের মৃত্যু ও সারা দেশে জ্বালানি তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির প্রতিবাদে বিএনপির চলমান আন্দোলনে পুলিশ ও সরকারি দলের হামলায় এটাই প্রতীয়মান হয়, সরকারের এই অপরিণামদর্শী ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্তের দায়দায়িত্ব কেবল সরকারকেই বহন করতে হবে। সত্য ও ন্যায়ের পথে জনগণের বিজয় অনিবার্য।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/২৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।