বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি খাত (প্রথম পর্ব)
বিদেশে কর্মী প্রেরণে স্বচ্ছতা ও চাকুরি নিশ্চয়তা না হলে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা দুরূহ
বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি খাত এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। যেসব দেশে বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানি করে সেসব দেশ অর্থনৈতিক সংকটে কর্মী নেওয়া বন্ধ বা কমিয়ে দিয়েছে। এর বাইরে সেসব দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় কর্মরত কর্মীরা দেশে অর্থ প্রেরণের পরিমাণও কমিয়ে দিচ্ছেন।
জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, পুরোনো শ্রমবাজারগুলোতে কর্মী প্রেরণের হার ক্রমেই কমে আসছে। লিবিয়া, কুয়েত, ইরাক প্রভৃতি দেশে কর্মী প্রেরণ একেবারে বন্ধ বললেই চলে। এ অবস্থায় নতুন বাজার খোঁজা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। জাপান, কোরিয়া এবং ইউরোপের দেশগুলোতে মাইগ্রেশন কূটনীতি বাড়িয়ে এ বাজারগুলো অনুকূলে আনা যায় বলে মনে করেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
এমন বাস্তবতায় ইতোমধ্যে বিদেশে অব্স্থানরত বাংলাদেশি কর্মীরাও অনেকে আছেন নানা সংকটে। স্বল্প বেতন, কাজের অভাব অমর্যাদাকর পরিস্থিতিসহ নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন রেমিটেন্স যোদ্ধারা। সৌদি আরবের তাবুক থেকে প্রবাসী আলমগীর হোসেন রেডিও তেহরানকে জানান, কর্মী হিসেবে বিদেশে যাওয়ার সময়ে সৃষ্ট সমস্যায়ই বেশির ভাগ সময়ে ভুগতে হয় তাদের।
আর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমিনুল ইসলাম রেডিও তেহরানকে জানান, কর্মী বিদেশে যাওয়ার আগে প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব পালন করলেও পরে আর তেমন খোঁজ খবর নেন না। যে কারণেই ভোগান্তি বাড়ে প্রবাসীদের।
একসময় কর্মহীন রেমিটেন্সযোদ্ধার দায় বর্তায় রিক্রুটিং এজেন্টের ওপর। এ বিষয়ে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজে'র (বায়রা) মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান রেডিও তেহরানকে বলেন, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনতে পারলে এসমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে এজন্য কূটনৈতিক পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত জরুরী বলেই মনে করেন এ বায়রা নেতা।
সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপারসন এমএস সেকিল চৌধুরী রেডিও তেহরানকে বলেন, অভিবাসীদের জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থার উদ্যোগ পর্যাপ্ত থাকলেও বাস্তবিক অনেক কিছুতেই ঘাটতি আছে। যার কারনে এখনো বাংলাদেশের অভিবাসন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়ে গেছে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিএমইটির মহাপরিচালক মোঃ শহীদুল আলম বলেন, বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশি কর্মী কাজ না পাওয়া, বেতন না পাওয়ার মত প্রতারনার শিকার হলে সেবিষয়ে বিএমইটি বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে সেবিষয়ে সবাইকে আরো সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ ডিজি বিএমইটির। #
পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন