জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ ১৮:৩৫ Asia/Dhaka

বাংলাদেশে শিল্প খাতে গ্যাসের দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে।  বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নতুন এ মূল্য ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হবে। 

আজ (বুধবার) দুপুরে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ভর্তুকি সমন্বয়ে গ্যাসের নতুন এ মূল্য নির্ধারণ উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে। এ দফায় বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতের গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে আবাসিক, সিএনজি ও চা শিল্পের গ্যাসের দাম। 

প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎ খাতে সরবরাহ করা প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া শিল্প খাতে গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা।

এদিকে, বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়লেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। তাতে  সফলতার দেখাও মিলছে। তাই গ্যাস যে মূল্যে কেনা হবে সেই মূল্য গ্রাহককে দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে দাম বাড়তে পারে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। 

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়ানোয় প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। বিশেষ করে ব্যবসায়ি ও শিল্পদ্যোক্তারা জানিয়েছেন নানা বিশ্লেষন ও শংকার কথা।

এ বিষয়ে  বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, এমনিতেই গ্যাসের সরবরাহ কম। তাই ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে ব্যবসায় বাড়বে, অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কিন্তু সেখানে এখন শিল্পখাতেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের শিল্প খাত। অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ব্যয় নির্বাহ করতে না পেরে ব্যবসা থেকে সরে যেতে পারে। সময়মত পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা যাবে না সামগ্রিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে। ফলে বিদেশি ক্রেতা হারানোরও শঙ্কা এই ব্যবসায়ী নেতার। 

এদিকে, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ রেডিও তেহরানকে জানান, মূল্যস্ফীতিতে দেশের অর্থনৈতিক সংকট যেখানে চরমে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে জ্বালানি সুবিধা নিশ্চিত করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এমন অবস্থায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হলে সেটা বাণিজ্যিক খাতের জন্য বড় সংকটের সৃষ্টি করবে। কর্মক্ষেত্র কমবে ফলে বেকারত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল্যস্ফীতিও আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করেন বিসিআই সভাপতি। যা তৈরি পোষাক শিল্পের জন্য তো বটেই রড সিমেন্টসহ দেশীয় শিল্পের জন্যও মারাত্মক অশনি সংকেত বলেই মনে করেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ। #

পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/১৮

ট্যাগ