বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক বাজেয়াপ্তের দাবি ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i118864-বিতর্কিত_পাঠ্যপুস্তক_বাজেয়াপ্তের_দাবি_ইসলামী_মুক্তিযোদ্ধা_প্রজন্ম_পরিষদের
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির শীর্ষ ব্যক্তিরা অযোগ্যদের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষা খাতকে শোচনীয় অবস্থায় নিয়ে গিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
জানুয়ারি ২৪, ২০২৩ ২০:২৫ Asia/Dhaka
  • শহিদুল ইসলাম কবির
    শহিদুল ইসলাম কবির

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির শীর্ষ ব্যক্তিরা অযোগ্যদের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষা খাতকে শোচনীয় অবস্থায় নিয়ে গিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।

তিনি বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকে ডারউইনের বিতর্কিত মতবাদ, মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদ, হাজার হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী, নগ্ন ও অশ্লীল ছবি যুক্ত করা এবং বাংলাদেশের কৃষ্টিকালচার বিরোধী বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিপদগামী করার চেষ্টা করেছে।

আজ (মঙ্গলবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, স্বাধীন-স্বার্বভৌম ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে বিতর্কিত এই পাঠ্যপুস্তক দিয়ে পাঠদান অব্যাহত থাকুক তা দেশের জনগণ চায় না। এ পরিস্থিতিতে বিতর্ক সৃষ্টিকরা পাঠ্যপুস্তক বাজেয়াপ্ত করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। দেশবাসী আশা করে সরকার প্রধান এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

তিনি বলেন, কে বা কারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে ভারতের বিজেপিপন্থি লেখকদের দাবি করা তথ্য পাঠ্য বইয়ে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন, তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ক্লাস সিক্সের বিজ্ঞান অনুশীলন পাঠ্য বইয়ের ১১তম অধ্যায়ের ‘মানব শরীর’ শিরোনাম অংশে কিশোর-কিশোরীর বয়ঃসন্ধিকালে তাদের শরীরের নানা অঙ্গের যেভাবে বর্ণনা দেয়া হয়েছে প্রকাশ্যে তা পড়ার বা পড়ানোর উপযোগী নয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক কিংবা বাসাবাড়িতে অভিভাবকদের সামনেও এই বর্ণনা প্রকাশ করার মতো নয় বলে মন্তব্য করেন শহিদুল ইসলাম কবির।#

পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/২৪