রমজানে ভোগ্যপণ্য সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আমদানিকারকরা; এলসি সংকটের অভিযোগ
(last modified Sun, 05 Mar 2023 12:25:23 GMT )
মার্চ ০৫, ২০২৩ ১৮:২৫ Asia/Dhaka

আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে মাহে রমজান। এই রমজান মাসকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য সরবরাহের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ছোলা, ডালসহ রমজানের বিভিন্ন নিত্য পণ্যের আমদানি। সেই সাথে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরাসহ বিভিন্ন মসলা পণ্যের আমদানি।

ঋণপত্র খোলা শুরু হয়েছে ছোলা ও ডালসহ রমজানের বিভিন্ন নিত্যপণ্যের। ইতোমধ্যে পেঁয়াজ ও বিভিন্ন মসলাসহ কিছুকিছু পণ্য বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। তবে আমদানীকারকদের অভিযোগ, পণ্য মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে ঋণপত্র খুলতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাভাবিক থাকলে আসন্ন রমজানে তেমন নিত্যপণ্যের একটা সংকট হবে না। বর্তমানে বাজারদর ছোলার কেজিপ্রতি ৭৭ থেকে ৭৮ টাকা এবং মসুর ডাল ১২৫ টাকা কেজি দরে।

এদিকে, আমদানিকারকদের অভিযোগ, এখনো কমেনি ঋণপত্র খোলার জটিলতা। পণ্যমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ঋণপত্র খুলতে হচ্ছে।

দিনাজপুরের হিলি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড-এর ম্যানেজার আরশাদ হোসেন জানিয়েছেন, ডলার সংকটের কারণে শতভাগ মার্জিন দিয়ে এলসি করতে হচ্ছে।

রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক রাখতে জটিলতা কমানোর দাবি হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের।

বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, আমদানি কারকরা ভারত থেকে যে সব খাদ্যদ্রব্য আমদানি করছে, সেগুলো খাওয়ার উপযোগী কিনা তার গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়। এবং সেই খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার উপযোগী হলে বন্দর থেকে খালাস নেওয়ার দির্দেশ দেওয়া হয়।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে বেনাপোল স্থলবন্দরে ছোলা এবং ফলসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব খাদ্যদ্রব্য যাতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত খালাস নিতে পারেন, সেজন্য বন্দর কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। #

পার্সটুডে/ বাদশাহ রহমান/‌আশরাফুর রহমান/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।