তেহরানে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত
(last modified Fri, 17 Mar 2023 10:45:46 GMT )
মার্চ ১৭, ২০২৩ ১৬:৪৫ Asia/Dhaka
  • প্রথম সচিব ও চার্জ দ্য আ্যাফেয়ার্স মোল্লা আহমদ কুতুবুদ-দ্বীন
    প্রথম সচিব ও চার্জ দ্য আ্যাফেয়ার্স মোল্লা আহমদ কুতুবুদ-দ্বীন

নানাবিধ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদ্যাপন করেছে। আজ সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব ও চার্জ দ্য আ্যাফেয়ার্স মোল্লা আহমদ কুতুবুদ-দ্বীন, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এফ এম কামাল হোসাইন, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের বাণিজ্যিক শাখার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জাভেদ ইসমাইলি (স্থানীয়), পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কন্সুলার কর্মকর্তা মো: গোলাম রাব্বানী। বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র সাংবাদিক মুসা রেজা, রেডিও তেহরানের সিনিয়র সাংবাদিক গাজী আব্দুর রশিদ, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ছাত্র প্রতিনিধি ফয়সাল ইফরান, মুহাম্মদ মুসা কাজেম এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব ও চার্জ দ্য আ্যাফেয়ার্স মোল্লা আহমদ কুতুবুদ-দ্বীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন দূতালয় প্রধান ওয়ালিদ ইসলাম। 

জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস ২০২৩ উপলক্ষে দূতাবাস শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়।

গভীর শ্রদ্ধার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বক্তব্যে বলেন, শিশুদের প্রতি জাতির পিতার মমত্ব ছিল অপরিসীম। শিশুদের সুরক্ষায় তিনি ছিলেন অগ্রণী। তিনি ১৯৭২ সালের সংবিধানে শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেন এবং এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে তিনি শিশু আইন প্রণয়ন করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন যার মাধ্যমে শিশু কিশোরদের বিকাশ তরান্বিত হয়। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় শিশুনীতি প্রণয়নসহ শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশে বিপুল কর্মযজ্ঞ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে করে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। শিশুদের মানসিক বিকাশে পরিবারের ভূমিকা গুরুত্বের সাথে তুলে ধরে তিনি সবাইকে শিশুদের প্রয়োজনে মানবিক ও আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠানের পরে জাতীয় শিশু দিবসের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। 

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণসহ তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, ইরানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি এবং অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীবৃন্দ, ইরানের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, ইরানে কর্মরত বাংলাদেশী বিভিন্ন পেশাজীবীবৃন্দসহ ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিকগণ সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।