শনাক্তকরণের বিলম্বে বাংলাদেশে বাড়ছে যক্ষা রোগী, দারিদ্র প্রবণ তৃণমূলে ঝুঁকি বেশি
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i121090-শনাক্তকরণের_বিলম্বে_বাংলাদেশে_বাড়ছে_যক্ষা_রোগী_দারিদ্র_প্রবণ_তৃণমূলে_ঝুঁকি_বেশি
বিশ্বের যে ৮ থেকে ১০ দেশে যক্ষ্মার প্রকোপ বেশি, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। যক্ষ্মায় প্রতি ১২ মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। সে হিসাবে দিনে মৃত্যু হচ্ছে ১০০ জনের। অথচ যক্ষ্মার চিকিৎসা রয়েছে দেশে। সরকার বিনা মূল্যে যক্ষ্মার ওষুধ দিচ্ছে। তার পরও এত মৃত্যুর নেপথ্য কারণ হলো, যক্ষ্মা নিয়ে মানুষের অসচেতনতা এবং রোগী শনাক্ত না হওয়া। গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ২০২০ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪২ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতি লাখে ২২১ জন নতুন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয় এবং প্রতি লাখে ২৪ জন মৃত্যুবরণ করে।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
মার্চ ২৫, ২০২৩ ১৭:৪৯ Asia/Dhaka

বিশ্বের যে ৮ থেকে ১০ দেশে যক্ষ্মার প্রকোপ বেশি, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। যক্ষ্মায় প্রতি ১২ মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। সে হিসাবে দিনে মৃত্যু হচ্ছে ১০০ জনের। অথচ যক্ষ্মার চিকিৎসা রয়েছে দেশে। সরকার বিনা মূল্যে যক্ষ্মার ওষুধ দিচ্ছে। তার পরও এত মৃত্যুর নেপথ্য কারণ হলো, যক্ষ্মা নিয়ে মানুষের অসচেতনতা এবং রোগী শনাক্ত না হওয়া। গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ২০২০ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪২ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতি লাখে ২২১ জন নতুন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয় এবং প্রতি লাখে ২৪ জন মৃত্যুবরণ করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুবাহিত এই রোগটি সাধারণত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেশি আক্রমণ করে। সেই সঙ্গে দারিদ্র্যপ্রবণ অঞ্চলে এর প্রকোপ বেশি। চিকিৎসকরা জানান, একজন যক্ষ্মারোগী থেকে কমপক্ষে ছয়জনে রোগটি ছড়াতে পারে। তাই কোথাও একজন যক্ষ্মারোগী পাওয়া গেলে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত কমপক্ষে ছয়জনকেই পরীক্ষা করাতে হবে।কিন্তু তৃনমূল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় রোগীরা দীর্ঘ সময় অসুখে ভুগে ভুল ওষুধ খেয়ে অসুখের মাত্রা বাড়াচ্ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই কিছুদিন আগেও যক্ষ্মা কেবল বড়দের রোগ হিসেবে চিহ্নিত হতো। ধারণা করা হতো শিশুরা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় না। কিন্তু শিশুরাও যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা পরিবারের বড়দের কাছ থেকেই এতে সংক্রমিত হচ্ছে। যক্ষ্মা নির্মূলে কিছু ক্ষেত্রে এগোলেও শতভাগ রোগী শনাক্ত করতে না পারায় বাংলাদেশ এখনো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পৃথিবীর যেসব দেশে ৭০ শতাংশ যক্ষ্মারোগী রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বেশ সফল হলেও কিছু ক্ষেত্রে এখনো কাজ করতে হবে বলেই মনে করেন বক্ষ ব্যাধি হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু রায়হান। যক্ষ্মা রোগের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, যক্ষ্মা একেবারে নির্মূল না করতে পারার পেছনে রোগী শনাক্ত না করতে পারা অন্যতম কারণ। কারণ, যক্ষ্মা হলে মানুষ তাকে প্রকাশ করতে চায় না। এর পেছনে রয়েছে কুসংস্কার এবং সামাজিক স্টিগমা।

বক্ষ ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. আসিফ মুজতবা মুহাম্মদ মনে করেন, যক্ষা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় ও শনাক্তকরণে দেরী হওয়া বাড়ছে এ রোগটি। এমন প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে দেশে যক্ষ্মা নিয়ে অনেক কাজ হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল করা অত্যন্ত কঠিন। কারণ মানুষ সচেতন যেমন নয়। তাই সবার সচেতনতা জরুরী বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। #

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/ বাবুল আখতার/ ২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।