স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশ
অর্থনৈতিক মুক্তি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের বিকল্প নেই: বিশ্লেষকের মন্তব্য
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ৫২ বছর উদযাপনের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে এখন বাংলাদেশ। কত বীর মুক্তিযোদ্ধা '৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের উল্লাসে মুক্ত জন্মভূমিতে স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দে উল্লসিত হয়েছেন, কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর তথা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে শামিল হতে পারেননি। তবে তাদের রেখে যাওয়া স্বাধীন স্বদেশকে আর স্বদেশের মানুষকে মুক্তির আনন্দে উদ্বেলিত করার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে পূর্ণ বিজয়ের আনন্দ।
১৯৭১ সালের লাখ লাখ মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছেন স্বাধীনতার বেদীমূলে! তারা তাদের বর্তমান উৎসর্গ করেছিলেন আমাদের ভবিষ্যৎ রচনা জন্য। ত্রিশ লাখ শহিদ কয়েক লাখ মা-বোন তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন এই স্বাধীনতার জন্য। পেছন ফিরে তাকালে কোটি কোটি মানুষের দুঃখ-দুর্দশার ছবি ভেসে ওঠে। আপন জন্মভূমি মৃত্যুগুহা হিসেবে দেখতে বাধ্য হওয়া অগণিত মানুষের অশ্রু আর রক্তের মর্মস্পর্শী সেই ঘটনাপ্রবাহ স্মৃতিকে আপ্লুত করে দেয়।

আজ বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসির মামুনের স্মৃতিচারণায় মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও দিনগুলোর কথা উঠে আসে বারবার। তবে স্বাধীনতা ৫২ বসন্তে এসে প্রাপ্তি প্রত্যাশার হিসাব কষতে গিয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেন, আরও বহুদূর যেতে হবে সত্যিকারের সুখী-সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। যে অর্থনৈতিক উন্নতি ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে, তার সুফল আরও অধিক মাত্রায় জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছাতে হবে। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে সত্য কিন্তু তার সিংহভাগ কয়েক হাজার কোটিপতির ঘরে বৃত্তাবদ্ধ হয়েছে। দেশের অর্থ কালো টাকার মালিকরা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। বিভিন্ন দেশে বেগম পাড়া’র মতো অবাঞ্চিত কালো টাকার ধনীপাড়া গড়ে উঠেছে, যা কাম্য হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে দ্রুতই।#
পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/২৬