ক্ষতি হচ্ছে কর্মঘণ্টা ও কর্মস্পৃহা
আবারো বাড়ছে ঢাকার যানজট: 'সংকট সমাধানে নগর বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি'
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আবারো তীব্র হচ্ছে যানজট। যদিও রাজধানীতে যানজট দীর্ঘদিনের চিত্র। গত দুই বছর কিছুটা কম ছিল করোনা মহামারি, স্কুল–কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে। কিন্তু চলতি রমজানে যানজটের নগরী ঢাকা আবার তার নিজস্ব রূপে ফিরেছে। অফিসমুখী মানুষদের ভোগান্তি বাড়ছে।
সকালে অফিসে যেতে যেমন সময়ক্ষেপণ হচ্ছে একইভাবে অফিস কিংবা কর্মস্থলের কাজ শেষে বাসা বাড়িতে ফিরতেও তাকে অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে ঢাকার রাস্তায়। ফলে ক্ষতি হচ্ছে কর্মঘন্টা ও কর্মস্পৃহা।
রাজধানীতে যানজটে নগরবাসী এমনভাবে নাকাল হচ্ছেন যে, সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে খানিক স্বস্তি থাকলেও কর্মদিবস শুরুতেই বাড়ে ভয়াবহ ভোগান্তি। বিশেষ করে অফিস ছুটির পর। অফিস থেকে বাড়িতে ফিরছেন, এমন দুজনের সঙ্গে কথা হলো। তাঁদের একজন রুহুল আমিন, তার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বললেন, ‘বিকেল সাড়ে চারটায় কারওয়ান বাজার অফিস থেকে বের হয়ে সাড়ে ছয়টায় নিকেতনে পৌঁছেছেন তিনি। যদিও স্বাভাবিক সময়ে লাগে ২০ থেকে ২৫ মিনিট।’
নগরীর যানজট পরিস্থিত নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, রমজান মাসে অফিসের সময় কমে যাওয়ায় পুরো ১২ ঘণ্টার চাপ এখন ৮ ঘণ্টায় ঠেকেছে। এ কারণেই যানজট বেড়ে গেছে। এর পাশাপাশি রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। এতেও যানজট পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আর তৃতীয় কারণ হলো, গুলশান বা উত্তরার মতো যেসব সড়কে দ্রুতগতির যান বেশি চলাচল করে, সেখানে হঠাৎ যানজটের সৃষ্টি হলে এর প্রভাব পড়ছে অন্য এলাকাগুলোতেও ।
এ সমস্যা নিরসনে সরকার বিভিন্ন মেগা প্রকল্প হাতে নিলেও এর সমাধান কতটুকু হবে, তা প্রশ্ন রয়েই যায়। নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি খন্দকার মোঃ আনসার হোসাইন মনে করেন, যানজটের প্রথম ও প্রধান সমস্যা ঢাকাকে ডিসেন্ট্রালাইজড না করা। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা হাতে নিলে এ সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব। আধুনিক বসবাসযোগ্য স্বপ্নের নগরী ঢাকা বানাতে হলে কিছু পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।#
পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/৬