বাংলাদেশে ১০ হাজার মানুষের সেবায় মাত্র ৩ জন নার্স; সরকারি উদ্যোগের দাবি
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i123096-বাংলাদেশে_১০_হাজার_মানুষের_সেবায়_মাত্র_৩_জন_নার্স_সরকারি_উদ্যোগের_দাবি
পুরো বাংলাদেশে এখন নার্স সংকট প্রকট রূপ ধারণ করেছে। নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের এক তথ্যে দেখা যায় দেশে এখন নার্সের প্রয়োজন তিন লাখের বেশি। যদিও নিবন্ধিত নার্স আছেন মাত্র ৮৪ হাজার। সে হিসেবে দেশে নার্স আছে প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ২৮ শতাংশ। প্রতি চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন দশমিক ৩০ জন।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
মে ১২, ২০২৩ ১৬:৫৮ Asia/Dhaka

পুরো বাংলাদেশে এখন নার্স সংকট প্রকট রূপ ধারণ করেছে। নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের এক তথ্যে দেখা যায় দেশে এখন নার্সের প্রয়োজন তিন লাখের বেশি। যদিও নিবন্ধিত নার্স আছেন মাত্র ৮৪ হাজার। সে হিসেবে দেশে নার্স আছে প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ২৮ শতাংশ। প্রতি চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন দশমিক ৩০ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ২৩ জন নার্স থাকার কথা। যদিও বাংলাদেশে এ সংখ্যা তিনজন।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা একটি দলগত প্রচেষ্টা। এ দলের প্রধান চিকিৎসক আর দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন নার্স। এখানে চিকিৎসকরা রোগীর রোগের ধরন এবং কী ধরনের চিকিৎসা লাগবে সেটি নির্ধারণ করেন। আর নার্সরা সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন। এজন্য নার্সদের পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি রোগীর সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিতে শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য এবং সামাজিকভাবে সুস্থ জীবনযাপনের অধিকারী হতে হবে। এ মানসিক সুস্বাস্থ্য বিঘ্নিত হলে তারা সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এ কারণে পৃথিবীর সব দেশে চিকিৎসক ও নার্সদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।

এমন পরিস্থিতিতে আধুনিক নার্সিংয়ের জনক ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয় ‘আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২৩’। ‘ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব নার্সেস’ (আইসিএন) এবার দিবসটির প্রতিপ্রাদ্য নির্ধারণ করেছে- ‘আওয়ার নার্সেস, আওয়ার ফিউচার’ অর্থাৎ 'আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ'।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গত কয়েক বছরে দেশের স্বাস্থ্যখাত অনেক দূর এগিয়েছে। এর পেছনে অবদান রেখেছেন বাংলাদেশের নার্সরাও। বিশেষ করে করোনা মোকাবিলা, শতভাগ ভ্যাকসিন দেওয়াসহ দেশের যেকোনো সংকটকালে নার্সরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। করোনা রোগীর সেবা দিতে গিয়ে ৩৩ জন নার্স মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় ৬ হাজার নার্স।

স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের ঢাকা মেডিকেল শাখার সভাপতি নার্গিস খানম মুন্নী বলেন, নার্সদের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাই তাদের ওপর কাজের চাপ বেশি।

এদিকে ঢাকার তেজগাঁও এ আলরাজী হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রিক্তা রানী বলেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন দেশের নার্সদের দক্ষতা ও সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই প্রয়োজনীয় সংখ্যা নার্স নিয়োগের দাবি জানান রিক্তা রানী।#

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/১২