নতুন মার্কিন ভিসানীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের সহায়ক হতে পারে: মোমেন
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i123576-নতুন_মার্কিন_ভিসানীতি_বাংলাদেশে_সুষ্ঠু_নির্বাচনের_সহায়ক_হতে_পারে_মোমেন
বাংলাদেশ সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার ও অবস্থানকে কেউ যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি সহায়ক হতে পারে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
মে ২৫, ২০২৩ ০৮:৩৫ Asia/Dhaka
  • ড. একে আবদুল মোমেন
    ড. একে আবদুল মোমেন

বাংলাদেশ সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার ও অবস্থানকে কেউ যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি সহায়ক হতে পারে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

গতকাল (বুধবার) বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর গণমাধ্যমকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এমন বার্তা দেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার ও অবস্থানকে যাতে কেউ জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য মার্কিন সরকারের ভিসানীতি আমাদের সহায়ক হতে পারে।

এটা নিষেধাজ্ঞা নয়: শাহরিয়ার

আমেরিকার নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা সম্পর্কে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গত রাতে বলেন, ‘এটা নিষেধাজ্ঞা নয়। বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত, তারা নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময় যে সহিংসতা চালিয়েছে, সেটার জন্যও ভিসা বিধিনিষেধ আসতে পারে। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই এই ভিসা নীতিতে সরকারের উদ্বেগের কিছু নেই।’

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে আমি আজ ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২(এ)(৩)(সি)(৩সি) ধারার আওতায় নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নতুন এই নীতির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পরে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস থেকে দেওয়া এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে— ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

ব্লিঙ্কেন বলেন, 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমসহ সবার। যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায়, তাদের সবাইকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।'#

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।