খুলনায় ইমাম খোমেনী (রহ)-এর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i124040
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা মরহুম ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আহলে বাইত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ইমামবাড়িতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাটি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও দোয়া-ই-ইমামে জামান পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
জুন ০৫, ২০২৩ ১৪:২৯ Asia/Dhaka
  • খুলনায় ইমাম খোমেনী (রহ)-এর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা মরহুম ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আহলে বাইত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ইমামবাড়িতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাটি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও দোয়া-ই-ইমামে জামান পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক হুজ্জাতুল ইসলাম মো. আব্দুল লতিফ। তিনি ইমাম খোমেনীর অনাড়ম্বর জীবনযাপন এবং আল্লাহর প্রতি তাঁর গভীর আস্থা ও বিশ্বাসের উপর আলোকপাত করে বলেন, আমাদের জন্য ইমাম খোমেনী (রহ.) একজন উত্তম আদর্শ।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে মূল্যবান আলোচনা রাখেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষা বিভাগীয় প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মো. আলী মোর্ত্তজা। তিনি বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) শৈশবকাল থেকেই ছিলেন সংগ্রামী এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক মূর্ত প্রতীক। তিনি কখনোই কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতেন না এবং কোন জালিমের আনুগত্য করতেন না। ইমাম খোমেনী (রহ.) ছিলেন একজন বিচক্ষণ, সচেতন ও সংগ্রামী আলেম। তিনি বলতেন, "ধর্ম থেকে রাজনীতি আলাদা নয় বরং ধর্ম এবং রাজনীতি একই সূত্রে গাঁথা। আর যারা বলে, ধর্ম থেকে রাজনীতি আলাদা তারা রাজনীতিও বোঝে না এবং ধর্ম সম্পর্কেও কোন জ্ঞান রাখে না।"

প্রধান বক্তা আরও বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) আল্লাহর উপর ভরসা রেখে ইরানের ২৫০০ বছরের রাজতন্ত্রকে উৎখাত করে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। তার শ্লোগান ছিল আমরা পশ্চিমাদের অনুকরণ করি না এবং প্রাচ্যের আনুগত্য করি না বরং আমরা ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্য তিনি ইরানের রেজা শাহ পাহলাভির সমস্ত ইসলাম বিরোধী নীতির সমালোচনা করেন এবং তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

মো. আলী মোর্ত্তজা বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) শুধু ফেকাহ এবং উসূলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না বরং তিনি এর পাশাপাশি নৈতিকতা এবং দর্শনশাস্ত্রের উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি মাত্র ২৭ বছর বয়সে দর্শনশাস্ত্র পাঠদান শুরু করেন। তিনি আয়াতুল্লাহ বুরুজারদি এবং আয়াতুল্লাহ কাশানি’র মত মহান আলেমদের রাজনৈতি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইমাম খোমেনী (রহ.) ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক আলেম তিনি তার সকল কাজকে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করতেন। আর এ জন্য তিনি কখনো কাউকে ভয় পেতেন না এবং কোন অত্যাচারী শাসকের কাছে নতি স্বীকার করতেন না।

বক্তারা ইমাম খোমেনীর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেন এবং আল্লাহর দরবারে তাঁর উচ্চ মাকাম কামনা করেন।

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।