জুন ০৬, ২০২৩ ১৬:৩১ Asia/Dhaka

তীব্র গরম আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট বাংলাদেশের জনজীবন। চলমান এই গরম আরো সপ্তাহখানেক থাকার শংকা আবহাওয়া অফিসের। আর চলতি জুন মাস জুড়েই এই গরমের আধিক্য থাকার সম্ভাবনার কথাও বলছেন আবহাওয়াবিদরা।

দিনের তাপমাত্রা, মাত্রারিক্ত না হলেও ভ্যাপসা গরমের যন্ত্রনা বাড়ছেই। এরমধ্যেও যারা কাজের প্রয়োজনে বেড়িয়েছেন ঘর ছেড়ে, তারা আছেন বিপাকে।  এজন্য রাস্তার পাশে কোমলপানীয়, আখের রস কিংবা ডাবের দোকানে বেচাবিক্রির হিড়িক বেড়েছে।

রাতের বেলায় বিদ্যুৎ বারবার চলে যাওয়ায় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে বেশি।  সমস্যায় আছেন বয়স্ক ও শিশুরা বেশি। আর ঘনঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে পড়াশুনায় সমস্যা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। সমস্যা হচ্ছে পানি সরবরাহেও। চলমান বিদ্যুৎ সংকটে ক্ষুদ্ধ নগরবাসী। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আছেন সবচেয়ে বেশি সংকটে। অর্থ সংকটে তারা পাচ্ছেন না জেনারেটরের সুবিধাও।

জ্যৈষ্ঠের তাপপ্রবাহে দেশজুড়ে চলমান অতিষ্ঠ জনজীবনে দাবদাহ এখন গ্রাম থেকে শহর, সবখানেই। গরমের তীব্রতায় ছোটবড় সবার হাঁসফাঁস পরিস্থিতি। এখন শুধু বাইরে না ঘরেও বিপর্যস্ত জনজীবন। এর সাথে আবার জুড়ে বসেছে লোডশেডিং। তাই গরম থেকে মুক্তির প্রার্থণা পুরো দেশবাসীর।

তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিনে বৃষ্টি কোনো সুখবর নেই। আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহ সহসাই কমছে না। চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা কমতে পারে। সেখানে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য জায়গায় আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর এবারের তাপমাত্রায় আদ্রতা বেশি থাকায় অসহনীয় পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি বলেই মন্তব্য আবহাওয়াবিদের। এদিকে, অসহ্য গরমে অতিষ্ট হয়ে অসুস্থতা বাড়ছে শিশু ও বয়স্কদের। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এই অবস্থায় শিশু বয়স্ক বৃদ্ধ সবাইকে বেশি বেশি পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি পান করার ও ছায়াযুক্ত স্থানে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। #

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/এমবিএ/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ