সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ ১৮:৩৭ Asia/Dhaka
  • কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
    কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তা না হলে এরপর কোনো অঘটন ঘটলে দায় সরকারকে নিতে হবে বলে তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করেছেন।

আজ (রোববার) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। ওই সমস্ত ছল-চাতুরী করে কোনো লাভ নেই, আবেদন করেনি, হয়নি…। পরিবার থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মুক্তির কথা বলা ছিল। একইভাবে চিকিৎসার জন্য তাঁর বাইরে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। আপনারা (সরকার) সেটাকে চেপে গিয়ে বেমালুম মিথ্যা কথা বলছেন।’

সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, 'শুভবুদ্ধির উদয় হোক আপনাদের। গণতন্ত্রের মাতাকে মুক্তি দিয়ে প্রমাণ করুন আপনারা কিছুটা হলেও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। অন্যথায় আপনাদের দেশের মানুষ আর অবৈধ ক্ষমতায় থাকতে দেবে না। টেনে-হিঁচড়ে নামাবে। এটা আপনাদের জন্য ভালো হবে না।'

খালেদা জিয়ার কিছু হলে সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘শুধু মার্কিন স্যাংশন নয়। দেশের মানুষ স্যাংশন দিচ্ছে এই সরকারকে। দেশের মানুষ পরিষ্কার ভাষায় এক বাক্যে বলছে, অনেক হয়েছে, অনেক অত্যাচার-নির্যাতন করেছ, কারাগারে আটক করে রেখেছ আমাদের নেতাদের। আর আমরা সেটা হতে দেব না।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আইনগত জটিলতা রয়েছে। এটা আদালতের বিষয়। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।

আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হচ্ছে। তবে, বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। তাছাড়া তাঁর বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও করার কিছু নেই। এটা সম্পূর্ণই আদালতের বিষয়।

দীর্ঘ ৪০ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তাঁর মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছেন, অতি দ্রুত তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট (প্রতিস্থাপন) করা দরকার। যেটা বাংলাদেশ সম্ভব নয়। এই জন্য তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করে তাঁর পরিবার। এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা জন্য যেতে দিতে সরকারের প্রতি একাধিকবার আহ্বান জানানো হয়#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৪

ট্যাগ