মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করল বিএনপি
-
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী
ঢাকায় অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে পুলিশি বাধা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আজ (রোববার বিকেলে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচির মধ্যে সড়ক, রেল ও নৌপথ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তিনি বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অর্থপাচার ও সিন্ডিকেটবাজির ফলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে এ কর্মসূচি সফলের জন্য আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার পতন আসন্ন। তাই সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে আসুন। জনগণের আন্দোলন কখনো বৃথা যায় না। গণতন্ত্রকামী জনগণের বিজয় হবেই।
গত কয়েকদিনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা ও গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে রিজভী জানান, গতকাল মহাসমাবেশের সময় থেকে আজ রোববার বিকেল পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে ৯৬০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত একজন সাংবাদিকসহ চারজন মারা গেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, এর মধ্যে তিনজনকে পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। পুলিশ ও সরকারি দলের হামলায় তিন হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। গত পাঁচ দিনে দুই হাজার ৬৪০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।