৬ আসনের ৪টিতে হেরেছেন ১৪ দলের শরীকরা
জোটের ভোটে ছলচাতুরি আর রহস্যজনক কারচুপির অভিযোগ
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে জোটের আলোচনা ছিল বেশ জোরেশোরে। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভাগাভাগিতে পাওয়া ছটি আসনের মধ্যে চারটিতে হেরে গেছেন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ারকার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে।
আওয়ামী লীগের ছাড় দেয়া ছয়টি আসনের মধ্যে ১৪ দলের শরিকরা জয় পেয়েছেন মাত্র দুটিতে। জয়ী হয়েছেন বরিশাল দুই আসনে ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও বগুড়া ৪ আসনে রেজাউল করিম তানসেন। ছেড়ে দেওয়া বরিশাল-২ আসনে সভাপতি রাশেদ খান বিজয়ী হলেও রাজশাহী ২ আসনে হেরেছেন সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। জাসদকে ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোর মধ্যে কুষ্টিয়া ২ এ দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু, লক্ষীপুর ৪ আসনে মোশারফ হোসেন হেরেছেন। বগুড়া ৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন রেজাউল করিম তানসেন।
জেপি মঞ্জুকে ছেড়ে দেওয়া হয় পিরোজপুর দুই আসনটি। তিনিও ধরাশায়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে। আসনগুলোতে ছয়জনে নির্বাচন করেন নৌকা প্রতীকে। তবে জোটের ভোটে এমন পরিস্থিতির জন্য ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি নির্বাচনের ব্যবস্থাপনার ত্রুটিকে দায়ী করে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
দলীয় কার্যক্রমে এ বিষয়ে আলোচনার পরে তারা প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা বলেছে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকায় ভোটে কারচুপি হয়েছে। ফলাফল সম্পর্কে তারা একটা তদন্ত করবে। শীর্ষ নেতাদের এমন হারে বিপর্যস্ত শরীকরা। আর জোটের ভোটের রাজনীতি কতদূর এগোবে তা নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে দলগুলোর অভ্যন্তরীণ বৈঠকে তাদের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত। #
পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।