তানভীর-জেসমিনসহ নয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i135780-তানভীর_জেসমিনসহ_নয়_জনকে_যাবজ্জীবন_কারাদণ্ড
বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার আলোচিত ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনার মামলায় হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মার্চ ১৯, ২০২৪ ১৮:৩৩ Asia/Dhaka
  • তানভীর-জেসমিনসহ নয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার আলোচিত ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনার মামলায় হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম রায়ের এই ঘোষণা করেন।

একযুগ আগের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় হলমার্ক গ্রুপের মালিক, কর্মকর্তা এবং সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে একটি মামলার রায়ের জন্য গত ২৮ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়।

কিন্তু আরো দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষী নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে নতুন করে ১৯ মার্চ রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়েছিলো।

মামলায় অভিযোগ করা হয় অস্তিত্বহীন ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।

অভিযোগে আরো বলা হয়, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস নামে ভুয়া কোম্পানির হিসাবে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয় যা পরে তানভীর ও তার স্ত্রী তুলে নেন।

২০১২ সালের ৪ অক্টোবর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০১৬ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ অভিযোগ গঠন করে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন। মামলার ৮১ জনের মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।#

পার্সটুডে/বাদশা রহমান/জিএআর/১৯