রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেব: আনু মুহাম্মদ
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i22132-রামপাল_বিদ্যুৎ_প্রকল্প_বাতিলে_ভারতের_প্রধানমন্ত্রীকে_চিঠি_দেব_আনু_মুহাম্মদ
বাগেরহাট জেলার সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বন্ধের উদ্যোগ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে খোলা চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেল-গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
অক্টোবর ০৬, ২০১৬ ১৬:১৫ Asia/Dhaka
  • রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেব: আনু মুহাম্মদ

বাগেরহাট জেলার সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বন্ধের উদ্যোগ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে খোলা চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেল-গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজধানীর পল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

গত ২৮ জুলাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দেয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, "রামপাল প্রকল্পের প্রধান অংশীদার ভারত। এ কারণে ভারত সরকারকে লক্ষ্য করে কর্মসূচি নেয়াও জরুরি মনে করছি। এবার বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষ থেকে এ প্রকল্প বাতিলের উদ্যোগ নেয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেব। এ জন্য আগামী ১৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে আমরা মিছিল করে বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনারের কাছে এই চিঠি হস্তান্তরের কর্মসূচি নিয়েছি।"

এছাড়া, রামপাল প্রকল্প বাতিলে ১৩ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে সভা-সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

আনু মুহাম্মদ বলেন, "ইউনেস্কোর সর্বশেষ রিপোর্টের তাগিদ থেকে পরিষ্কার বার্তা পাওয়া যাচ্ছে যে, সরকার যদি আগের মতোই এসব গুরুতর বিষয় উপেক্ষা করে এবং এই প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হয়, তাহলে সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবে। কাজেই সরকারের উচিত হবে একগুঁয়েমি ছেড়ে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, বিশেষজ্ঞ মত ও ক্রমবর্ধমান জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে রামপাল চুক্তি বাতিলসহ সুন্দরবন-বিনাশী, বনগ্রাসী সব তৎপরতা বন্ধ করা।"  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, বৈজ্ঞানিক তথ্য-যুক্তিতে পরাজিত হয়ে, দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে সুন্দরবন বিনাশে সরকার শক্তি প্রয়োগের পথ গ্রহণ করছে। এটা তাদের শক্তির নয়, দুর্বলতার প্রকাশ। 

সুন্দরবনের ওপর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় যুক্ত হওয়ার কারণে গবেষককে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, রাজেকুজ্জামান রতন, মোশারেফা মিশু প্রমুখ।# 

পার্সটুডে/এআর/৬