দাবি পূরণে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩ পার্বত্য জেলায় হরতাল প্রত্যাহার
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i56912-দাবি_পূরণে_প্রশাসনের_আশ্বাসে_৩_পার্বত্য_জেলায়_হরতাল_প্রত্যাহার
বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আজ (সোমবার) দুপুর ২টার দিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
মে ০৭, ২০১৮ ১৭:৪৪ Asia/Dhaka
  • দাবি পূরণে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩ পার্বত্য জেলায় হরতাল প্রত্যাহার

বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আজ (সোমবার) দুপুর ২টার দিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তাদের তিন দফা দাবি পূরণে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এ হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মহালছড়ির মাইসছড়ি থেকে নিখোঁজ মাটিরাঙ্গার তিন বাঙালি যুবককে উদ্ধার, রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে বাঙালি গাড়িচালক সজিব হাওলাদারসহ পাঁচ জনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ-জেএসএসকে নিষিদ্ধের দাবিতে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এ হরতালের ডাক দেয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাংগামাটি জেলায় দুটি পৃথক সন্তাসী হামলায় পাঁচজন নিহত হবার পর পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সে প্রক্ষিতের বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য অধিকার ফোরাম তাদের তিনদফা দাবিতে রোববার থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয়।

পাহাড়ে চাদাঁ আদায় এবং নিজেদের শক্তি জানান দিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে পাহাড়ের কয়েকটি সশস্ত্র গ্রুপ। সংঘাতের সর্বশেষ শিকার হয়েছেন, নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এম এন লারমা) অন্যতম শীর্ষ নেতা শক্তিমান চাকমাকে গত ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলায় নিজ কার্যালয়ের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। এই সময় তাঁর সঙ্গে থাকা সংগঠনটির আরেক নেতা রূপম চাকমা গুলিবিদ্ধ হন।

এর একদিন পরই ৪ মে শক্তিমান চাকমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ফিরে  যাওয়ার পথে সশস্ত্র হামলায় নিহত হন ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের শীর্ষ নেতা তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এম এন লারমা) নেতা সুজন চাকমা, সেতুলাল চাকমা, তনয় চাকমা। এ হামলায় আহত হয় আরো নয় জন।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৭