বাংলাদেশের ঐতিহ্য খনিয়াদিঘি মসজিদ: পাওয়া গেছে ফার্সি শিলালিপি ও বই
-
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খনিয়াদিঘি মসজিদ
খনিয়াদিঘি মসজিদ বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য যার অবস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছোট সোনা মসজিদের খুব কাছে। এটি আনুমানিক ১৫'শ শতকে নির্মিত হয়েছিলো। এটি স্থানীয়ভাবে চামচিকা মসজিদ এবং রাজবিবি মসজিদ নামেও পরিচিত।
এটি প্রায় ৫০০ বছর আগের মসজিদ। একসময়ে বাংলার ঐতিহ্যবাহী রাজধানী গৌড়ে এর অবস্থান হলেও কালের পরিক্রমায় এই মসজিদে যাওয়ার জন্য একটি সুন্দর রাস্তারও কোনো অস্তিত্ব নেই।
মসজিদটি কে তৈরি করেছেন এ ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। পরিত্যক্ত অবস্থায় বহুদিন ছিল। এখন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এর দেখাশোনা ও নামাজ উপযোগী করেছে।
সেখানে তদন্ত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনাকারী প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একজন প্রকৌশলী জানিয়েছেন, এই মসজিদকে নিয়ে তারা কাজ করছেন, এর ইতিহাস উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তিনি জানান সেখানে ফার্সি ভাষায় লেখা প্রাচীন কিছু শিলালিপি ও ফার্সি বই পাওয়া গেছে। এসব তথ্য নিয়ে মসজিদের প্রকৃত ইতিহাস জানার চেষ্টা চলছে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এই প্রকৌশলী আরো জানিয়েছেন, শীঘ্রই তারা এখানে মসজিদের পরিচিতি সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করবেন।

মসজিদটিতে মেহরাব আছে তিনটি। গম্বুজ আছে চারটি। দরোজা তিনটি। এটি ছোট সোনা মসজিদ থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
১৪৫০ থেকে ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দ অবধি গৌড় ছিল তৎকালীন বাংলার রাজধানী ; ধারণা করা হয় এ সময়টিতেই এ মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। এই মসজিদের পাশে বিশাল এক দিঘি রয়েছে যা খনিয়া দিঘী নামে পরিচিত। মসজিদটি দীর্ঘকাল আগে পরিত্যক্ত হয়েছে। পরিচর্যার অভাবে এ মসজিদটি বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
এই মসজিদের আয়তন ৬২ × ৪২ ফুট। মূল গম্বুজটির নিচের ইমারত বর্গাকারে তৈরি, যার প্রতিটি ২৮ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট। বড় কামরার সামনের দিকে (পূর্ব) একটি বারান্দা ছিল, যার অবশিষ্টাংশ বর্তমানে দেখা যায়। মসজিদটি ইটের তৈরি, বাইরের দিকে সুন্দর কারুকাজ করা।
মসজিদটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ, শাহবাজপুরে অবস্থিত।#
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২২