রমজানে ভেজাল রোধে প্রথম দিন থেকেই অভিযান
(last modified Mon, 06 May 2019 13:26:37 GMT )
মে ০৬, ২০১৯ ১৯:২৬ Asia/Dhaka

রমজানে জনসাধারণ যাতে ন্যায্যমূল্যে ভেজালমুক্ত পণ্য ও ইফতার সামগ্রী কিনতে পারেন সেজন্য মাঠ পর্যায়ে অভিযানে নামবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, র‍্যাব ও পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইফতারে ভেজাল রোধে প্রথম দিন থেকেই অভিযান শুরু হবে।

রমজান মাসে বাজারে ভেজাল মুক্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে পুরান ঢাকার ফল বাজারে অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ওই অভিযানে প্রায় ১০ হাজার কেজির মতো পচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করা হয়।

তবে রমজানকে সানে রেখে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে জানিয়েছে রাজধানীর ক্রেতা সাধারণ।

মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে খুচরা ব্যবসায়ীরা বরাবরের মতোই দুষছেন পাইকারী ব্যবসায়ীদের। তবে আমদানী পণ্যের  প্রধান পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন চাহিদার তুলনায় প্রচুর মজুদ রয়েছে তাই বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমেছে। 

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন পণ্যমূল্য বৃদ্ধি না করতে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের সব ব্যবস্থা নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও বাজার মনিটর করবে। রমজানকে ঘিরে কোনো ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে কিনা সে বিষয়টি আমরা নজরে রাখছি।'

এ অবস্থায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সরবরাহের সার্বিক যে চিত্র উপস্থাপন করেছে, সেটি বস্তুনিষ্ঠ হলে রমজানের বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই বলে মনে করছেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান।

তিনি মনে করেন, নিয়ন্ত্রণ করে মূল্য নির্ধারণ নয়, অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে পন্যমূল্য সহনশীল রাখতে হবে।

'নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দেশের বড় চ্যালেঞ্জ'

এদিকে, শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম মন্তব্য করেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সকল মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত 'জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি উৎপাদনশীল ব্যবস্থা গড়ে তোলা' শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) আয়োজিত এ যৌথকর্মশালায়  শিল্প সচিব বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দুর্যোগ প্রবণ দেশগুলোর অন্যতম। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, উষ্ণতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে, গত দশকে জিডিপির ২ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কৃষিখাতে জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে চলতি দশকে এ ধরনের ক্ষতির পরিমাণ ১ শতাংশে নেমে এসেছে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৬