এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই: ওবায়দুল কাদের
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i75684-এনআরসি_নিয়ে_বাংলাদেশের_উদ্বিগ্ন_হবার_কিছু_নেই_ওবায়দুল_কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'ভারতের নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। তাই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের বিব্রত করতে চায় না বাংলাদেশ।'  
(last modified 2025-10-08T09:10:00+00:00 )
ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯ ১৮:৫৩ Asia/Dhaka
  • ওবায়দুল কাদের
    ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'ভারতের নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। তাই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের বিব্রত করতে চায় না বাংলাদেশ।'  

আজ (বুধবার) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো, চমৎকার পর্যায়ে আছে। কাজেই যেকোনো সমস্যা হলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারবো। বাংলাদশে-ভারত সম্পর্ক অনেক উচ্চতা। এসময়ে আমাদের মধ্যে কোনো প্রকার টানাপোড়ন নেই। যে কারণে কোনো কিছু বৈরিতার সৃষ্টি করে না।’

এ সময় ভারত থেকে অবৈধ নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশইনের বিষয়টি একটি প্রপাগান্ডা বলেও দাবি করেছেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত।

ইতোমধ্যে ভারতে এনআরসি আতঙ্কের কারণে বেশ কিছু নাগরিক পশ্চিমের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আনুপ্রবেশের সময় সীমান্ত রক্ষীদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।  তাছাড়া, ভারতে নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি থেকে বাদপড়া লোকজন সীমান্ত গলিয়ে  বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারে, এমন শঙ্কা থেকে রাজশাহীর চরখানপুর গ্রামের বাসিন্দারা রাত জেগে বিজিবির সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে বলেও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ওদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যম খবর দিয়েছে, আজ (বুধবার) ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বহুল বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাবার পর আগামী সপ্তাহে এ বিলটি সংসদে পেশ করা হবে।

এই বিলে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে যেসব অমুসলিম নাগরিক ধর্মীয় পীড়নের কারণে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন,ভারত সরকার তাঁদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে। প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা মুসলমানদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি এ বিলে। তবে, ধর্মেরভিত্তিতে এরকম ভেদাভেদ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে আপত্তি জানিয়েছে ভারতের বেশিরভাগ বিরোধীদল।

সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকে পড়ে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে এবং এদের ঠেকানোর জন্যই নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি'র মতো পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।