মিয়ানমার সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানাল রোহিঙ্গারা
(last modified Fri, 24 Jan 2020 17:27:03 GMT )
জানুয়ারি ২৪, ২০২০ ২৩:২৭ Asia/Dhaka
  • মিয়ানমারের রাখাইনে পুড়িয়ে দেয়া হয় রোহিঙ্গা মুসলমানদের ঘরবাড়ি (ফাইল ফটো)
    মিয়ানমারের রাখাইনে পুড়িয়ে দেয়া হয় রোহিঙ্গা মুসলমানদের ঘরবাড়ি (ফাইল ফটো)

মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সরকারের অপরাধযজ্ঞের বিষয়ে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের নিদের্শমালাকে স্বাগত জানিয়েছে ওইসব অপরাধের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানরা এবং বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশের কক্সবাজারে শরণার্থী ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা মুসলমানরা হেগের আদালতের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এতে ন্যায়বিচার করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ সরকারও হেগের আদালতের এ সংক্রান্ত নির্দেশমালাকে মিয়ানমারে  রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার গঠনমূলক পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে স্বাগত জানিয়েছে।  বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের জীবন রক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশসহ ওই আদালতের অন্য সব নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) হেগের আন্তর্জাতিক আদালত জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বা গণহত্যার হাত থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষার জন্য জরুরি সব পদক্ষেপ নিয়ে ইয়াঙ্গুন সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে উগ্র বৌদ্ধ ও সরকারি সেনাদের হামলায় ৬ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত ও ৮ হাজার আহত হয়। দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।  

জাতিসংঘের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে এবং তাদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতনও করেছে।

রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও সহিংসতা বন্ধ করাসহ মিয়ানমারকে কয়েকটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস বা আইসিজে। একইসঙ্গে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত অতীতের হামলার সকল তথ্য প্রমাণ সংরক্ষণেরও নির্দেশ দিয়েছে দেশটিকে।

আদেশে আরও বলা হয়েছে জাতিসংঘ কনভেনশনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে হবে। মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী পুনরায় কোনো ধরনের গণহত্যা কিংবা গণহত্যার ষড়যন্ত্র করতে পারবে না। বিচারের চূড়ান্ত রায় প্রকাশিত না হওয়া পযর্ন্ত ৪ মাস পরপর মিয়ানমারকে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

গণহত্যা সনদের ধারা ২ এর আওতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সব ধরনের সুরক্ষা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা মিয়ানমারকে পূরণ করতে হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে বাস্তুচ্যুতির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে মিয়ানমারকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। #  

পার্সটুডে/এমএএইচ/২৪