বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন: প্রধানমন্ত্রী বললেন 'মুজিববর্ষের উপহার'
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i78199-বাংলাদেশের_প্রথম_এক্সপ্রেসওয়ে_উদ্বোধন_প্রধানমন্ত্রী_বললেন_'মুজিববর্ষের_উপহার'
বাংলাদেশের রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রুটে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টার দিকে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন।
(last modified 2025-10-08T09:10:00+00:00 )
মার্চ ১২, ২০২০ ১৫:০৩ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন: প্রধানমন্ত্রী বললেন 'মুজিববর্ষের উপহার'

বাংলাদেশের রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রুটে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টার দিকে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে দ্রুততম সময়ে আরামদায়ক ও নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়।

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়েসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। শুধু সড়ক নয়, নৌ, বিমান ও রেল পথেরও আমরা উন্নয়ন করছি। সারাদেশের মানুষ আজ সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। আজ যে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করা হলো তা মুজিববর্ষের উপহার।

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে সম্পর্কে প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের এই এক্সপ্রেসওয়ে দুইটি সার্ভিস লেনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীকে যুক্ত করবে। এটি উন্মুক্তের ফলে বাংলাদেশ যোগাযোগ ক্ষেত্রে এক নতুন যুগে প্রবেশ করল।’

এখন মাত্র ২৭ মিনিটে ঢাকা থেকে মাওয়ায় যাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত 

প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস এবং প্রায় ১০০টি সেতু এবং কালভার্ট রয়েছে, যা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়িয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ের দুটি অংশ বর্তমানে নির্মাণাধীন ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর দু প্রান্তে সংযুক্ত হবে।

পদ্মা ব্রিজের দু’ প্রান্তে মাওয়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এবং ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পানছার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত  দুটি এক্সপ্রেসওয়ে পুরো খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের একটি অংশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা শহর এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করবে।

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ছয় জেলাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার মানুষ সরাসরি এই আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপকৃত হবেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ ভিডিও কনফারেন্সে আরো যেসব সড়ক ও সেতু প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুনির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ৬ লেনবিশিষ্ট ৮ কিলোমিটার তৃতীয় কর্ণফুলী (শাহ আমানত সেতু) সেতু এপ্রোচ সড়ক এবং ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ সড়ক জোনে নির্মিত ২৫টি সেতু।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।