প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i78932-প্রেসিডেন্টের_কাছে_ক্ষমা_চেয়ে_আবেদন_বঙ্গবন্ধুর_খুনি_আবদুল_মাজেদের
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল মাজেদ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
(last modified 2025-10-08T09:10:00+00:00 )
এপ্রিল ০৮, ২০২০ ২২:৩৫ Asia/Dhaka
  • আবদুল মাজেদ
    আবদুল মাজেদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল মাজেদ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন। আগামীকাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে আদালতের ছুটি চলার মধ্যেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মাজেদের বিষয়ে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর কেবল ৮ এপ্রিল ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ছুটি বাতিল করা হয়। পরে দুপুরেই ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরী আবদুল মাজেদের পরোয়ানা জারি করেন।

দুই দশকের বেশি সময় ভারতে পালিয়ে থাকার পর দেশে ফিরে মঙ্গলবার ভোরে গাবতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট মাজেদকে আদালতে নিয়ে গেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) এ এম জুলফিকার হায়াত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে আবদুল মাজেদ

আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট থেকে আদালতকে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে রিকশায় করে সন্দেহজনকভাবে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি (মাজেদ)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয়। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি স্বীকার করেন, তার নাম মাজেদ। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি।

আবদুল মাজেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত আরও পাঁচ খুনি বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন: খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এরা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।

১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। সেই রায়ে আবদুল মাজেদসহ ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের দেয়া রায়ে ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। পরে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত পাঁচ আসামি রিভিউ আবেদন করেন। তবে সেই রিভিউ খারিজ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই পাঁচ আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ (ল্যান্সার), এ কে বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন (আর্টিলারি) এর ফাঁসি ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি কার্যকর হয়।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।