বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের আবেদন খারিজ: যেকোনো সময় মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i78938-বঙ্গবন্ধুর_খুনি_মাজেদের_আবেদন_খারিজ_যেকোনো_সময়_মৃত্যুদণ্ডাদেশ_কার্যকর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদের ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। 
(last modified 2025-10-08T09:10:00+00:00 )
এপ্রিল ০৯, ২০২০ ১১:৪৭ Asia/Dhaka
  • আবদুল মাজেদ
    আবদুল মাজেদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদের ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। 

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বঙ্গভবনের একটি সূত্রে জানা যায়, কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবদুল মাজেদের আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছায়। এরপরই রাতেই তা খারিজ করে দেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। এটি খারিজ হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের সামনে দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকছে না।

এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, আবেদন খারিজের পর আজ মাজেদের সঙ্গে আত্মীয়-স্বজনের সাক্ষাৎ হতে পারে। আর মৃত্যুদণ্ডাদেশ ৩-৪ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। তবে সঠিক দিনক্ষণ বলা যাবে না।

আসামির আপিল প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা আপিল বিভাগের সামনে বিচারাধীন নেই এবং আপিল করার যে সময়সীমা ছিল তাও অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে আসামির আপিল করার সুযোগ নেই।

শেখ মুজিবুর রহমান

বর্তমান আইনমন্ত্রীর বক্তব্য সমর্থন করে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, আবেদন খারিজের ফলে যেকোনো সময় মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হবে। আর পলাতক থাকায় এই আসামি আপিল করার সব অধিকার হারিয়েছেন।

গতকাল ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মাজেদকে আনা হলে বিচারক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী মাজেদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড পরোয়ানা জারি করেন। এরপর মৃত্যুদণ্ড পরোয়ানা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মৃত্যুর পরোয়ানা হাতে পেয়ে পড়ে শোনানোর পর প্রেসিডেন্টের কাছে মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন আবদুল মাজেদ।

দুই দশকের বেশি সময় ভারতে পালিয়ে থাকার পর দেশে ফিরে মঙ্গলবার ভোরে গাবতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ। এরপর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছে। এখনো সে ওই সেলে আছে।

১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। সেই রায়ে আবদুল মাজেদসহ ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।