উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ রোহিঙ্গা ‘মাদক কারবারি’ নিহত
(last modified Thu, 09 Jul 2020 06:03:07 GMT )
জুলাই ০৯, ২০২০ ১২:০৩ Asia/Dhaka
  • উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ রোহিঙ্গা ‘মাদক কারবারি’ নিহত

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই ‘মাদক কারবারি’ বলে বিজিবি জানিয়েছে।

কক্সবাজারস্থ বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু হায়দার আজাদ আহমেদ জানিয়েছেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে উখিয়ার তুলাতলী সীমান্তের জলিলের গোদা ব্রিজের পাহাড়ি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নুর আলম (৪৫), উখিয়ার বালুখালী এক নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গুরা মিয়ার ছেলে হামিদ (২৫) ও কুতুপালং দুই নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে নাজির হোসেন (২৫)।

বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জানান, কতিপয় ইয়াবা কারবারিরা বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ সদস্যের একটি বিজিবির টহল দল তুলাতলী জলিলের গোদা ব্রিজের রাস্তার ঢালুতে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার ভোরে ১০/১২ জনের একটি দল পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আসতে দেখে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে বিজিবির টহল দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় বিজিবিও তাদের জানমাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পাশের পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে টহল দল ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতনামা ৩ জন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত, ইয়াবা সাদৃশ্য বস্তু ও দেশীয় তৈরি পাইপগান পড়ে থাকতে দেখে। এরপর আহত ব্যক্তিদের জীবন রক্ষার্থে চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থল থেকে ৩ লাখ পিস ইয়াবা বড়ি, দেশিয় তৈরি পাইপগান ২টি ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

বিজিবি কর্মকর্তা আরও বলেন, বিজিবি বিষয়টি উখিয়া থানাকে অবহিত করলে পুলিশের একটি দল উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

গত ১ জানুয়ারি হতে ০৯ জুলাই পর্যন্ত বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়ন অভিযান চালিয়ে ১১ লাখ ৪১ হাজার ২৯৭ পিস ইয়াবাসহ ৮৯ জনকে আটক করে। এছাড়াও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ৯ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৯