বাংলাদেশে কুরবানি পশুর চাহিদা কম, চামড়ার দাম ২৯ শতাংশ কমে নির্ধারণ
আগামী সপ্তাহে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের সব জেলাতে শুরু হয়েছে, কোরবানি পশুর হাট। স্থানীয় খামারিদের উপস্থিতি বেশ ভালো হলেও পাইকারী ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। ক্রেতা সংকটে পশুর দামও কমেছে।
এদিকে, লোকসান এড়াতে অ্যাপ ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পশু বিক্রির পরামর্শ দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় এ বছর চামড়া সংগ্রহ কম হবে বলে ধারণা করছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী- গতবছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে পশু বিক্রি হয়েছিল এক কোটি ছয় লক্ষ। এ বছর করোনার কারণে তা কমে নব্বই লাখে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ এ বছর কোরবানি উপযুক্ত এক কোটি পনের লক্ষ পশু দেশে মজুদ আছে।
অপরদিকে, চট্টগ্রামের চামড়ার আড়দাররা জানিয়েছেন, কোরবানির চামড়ার দর পতনের কারণে গত বছর প্রচুর কাঁচা চামড়া রাস্তায় ফেলে দিতে হয়েছে। তাছাড়া ট্যানারি মালিকদের কাছে আড়তদারদের পাওনা বকেয়া রয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এ টাকা না পেলে এবার কাঁচা চামড়ার বাজার আরো বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

এ অবস্থায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী আজ সকালে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আসন্ন ঈদে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম গতবছরের চেয়ে প্রায় ২৯ শতাংশ কমিয়ে নির্ধারণ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, এ বছর ঢাকায় গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা দাম নির্ধারণ হয়েছে। এছাড়া প্রায় ২৭ শতাংশ দাম কমিয়ে প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ থেকে ১৫ টাকা।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, করোনা সঙ্কটের কারণে এ বছর কাঁচা চামড়ার দাম কমিয়ে নির্ধারণ হয়েছে। তবে নির্ধারিত দামে কাঁচা বিক্রি না হলে চামড়া রপ্তানি করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।