পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই আমরণ অনশন রায়হানের মায়ের: অপরাধীকে গ্রেফতারের দাবি
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i84140-পুলিশ_ফাঁড়ির_সামনেই_আমরণ_অনশন_রায়হানের_মায়ের_অপরাধীকে_গ্রেফতারের_দাবি
সিলেটের যে পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, বন্দরবাজারের সেই ফাঁড়ির সামনেই আমরণ অনশন শুরু করেছেন রায়হানের মা সালমা বেগম। রোববার সকাল ১১টা থেকে রায়হানের মা মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে আমরণ অনশন শুরু করেন। তার সঙ্গে রয়েছে রায়হানের চাচা-চাচি, মামা, খালা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
অক্টোবর ২৫, ২০২০ ১৮:০০ Asia/Dhaka
  • পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই আমরণ অনশন রায়হানের মায়ের: অপরাধীকে গ্রেফতারের দাবি

সিলেটের যে পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, বন্দরবাজারের সেই ফাঁড়ির সামনেই আমরণ অনশন শুরু করেছেন রায়হানের মা সালমা বেগম। রোববার সকাল ১১টা থেকে রায়হানের মা মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে আমরণ অনশন শুরু করেন। তার সঙ্গে রয়েছে রায়হানের চাচা-চাচি, মামা, খালা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।

রায়হান আহমদের মা বলেন, এই ফাঁড়িতেই আমার ছেলেকে পুলিশ হত্যা করেছে। সেখানেই আমরণ অনশন শুরু করেছি। আকবর গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে। সালমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে করে বলেন, রায়হান নিহতের ঘটনায় বরখাস্তকৃতদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। নিহতের ১৩ দিন হলেও কেন ঘটনার মূল হোতা এসআই আকবরকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। আকবরকে যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে লুকিয়ে রেখেছে তাদের উদ্দেশ্যে রায়হানের মা অনুরোধ করেন আকবরকে যেন তার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। 

উল্লেখ্য, রায়হান আহমেদ নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারি হিসেবে কাজ করতেন। গত ১১ অক্টোবর ভোরে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরের কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন। তবে পরিবার দাবি করে, বন্দর বাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান।

ওই রাতেই পুলিশকে অভিযুক্ত করে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু আইনে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। পরদিন রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সিলেট মহানগর পুলিশ।

 

এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুন রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনমুখর হয়ে পড়ে সিলেট। সিলেট মহানগর পুলিশকে নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এই সমালোচনার মুখে মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার গোলাম কিবরিয়াকে বদলি করা হয়। আর এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া ১২ অক্টোবর থেকে পলাতক রয়েছেন।#

পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/রেজওয়ান হোসেন/২৫