কোভিড মোকাবিলায় দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ ভ্যাকসিন প্রয়োগের ব্যবস্থা না করতে পারলেও বাংলাদেশ এই ভ্যাকসিন আমদানি করে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠকে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ করোনাভাইরাস কেবল আমাদের ওপর নয়, সারাবিশ্বের ওপরই প্রভাব ফেলেছে। সারাবিশ্বে মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে আমরা আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভৌগলিক সীমারেখায় ছোট হলেও আমাদের দেশ জনসংখ্যার দিক থেকে বড়। সেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টার মাধ্যমে আমরা কোভিড মোকাবিলাতেও সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসন থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, আমাদের নেতাকর্মীরা সবাই দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সবার পরিশ্রমেই আমরা করোনাভাইরাসকে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। যে কারণে করোনাভাইরাসের এই মহামারির মধ্যে যখন সারাবিশ্বের অর্থনীতি অচল, উন্নত দেশগুলোও যখন ভ্যাকসিন দিতে পারেনি, আমরা বাংলাদেশে তখন ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি এবং একটি দৃষ্টান্ত আমরা দেখাতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যেমন বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি, তেমনি আর্থিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রণোদনা দিয়েছি। একইসঙ্গে ভ্যাকসিনও নিয়ে এসেছি। অনেক উন্নত দেশও এখনো ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করতে পারেনি। কিন্তু যখন গবেষণা হচ্ছিল, তখন থেকেই এই ভ্যাকসিন কেনার জন্য সব জায়গায় আমরা যোগাযোগ করেছি। আগাম অর্থ দিয়ে আমরা বুকিং রেখেছিলাম, যেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের পর ভ্যাকসিন বিক্রি শুরু হলেই আমরা ভ্যাকসিনটা পাই এবং দেশবাসীকে দিতে পারি। আমরা সেটি করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দেশবাসীও ধৈর্য ধরেছে। তাদের সহযোগিতার জন্যই আজ তাদের সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি। তারা ভোট দিয়েছিল বলেই আমরা ক্ষমতায় আসতে পেরেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ঘনবসতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেক উন্নত দেশেরই হয়তো এ চ্যালেঞ্জ ছিল না। তাদের জনসংখ্যা কম, ফলে কাজ করা সহজ। আমরা আমাদের জনসংখ্যার বিষয়টি মাথায় রেখেই পদক্ষেপ নিয়েছি।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/ বাবুল আখতার /১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।