বেতন পরিশোধ ও গণপরিবহন চালুর দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ঈদ-উল-ফিতরের আগে বেতন-বোনাস পরিশোধ, ঈদের ছুটি বৃদ্ধি এবং গ্রামে ফিরতে গণপরিবহন চালুর দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে তারা ঘোষণা দিয়েছে।
আজ (শনিবার) রাজধানীর মিরপুর এলাকার প্রায় ৩০টি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা এক হয়ে সকাল ১১ টার পর থেকে মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর দুপুর ১২টার দিকে শ্রমিকরা মিরপুর ১০ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, ঈদের আর মাত্র ৫ দিন বাকি থাকলেও এখনো বেতন-বোনাস পাননি তারা। বন্ধের এক বা দুই দিন আগে বেতন-বোনাস দিলে ঈদের কেনাকাটা করা সম্ভব হবে না বলে জানান তারা। তারা আরও জানান, শাহেদ ইসলাম নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘ঈদের ছুটি তিন দিন ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ের ঈদের আগে গণপরিবহন চালু রাখার দাবিও জানান তারা।
প্রণোদনা নিয়েও শ্রমিক ছাঁটাই
এদিকে, করোনা মহামারির শুরুতে গতবছর শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধের কথা বলে পোশাক কারখানার মালিকেরা সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা নিয়েও ২৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে। এ সময়ে এই খাতের চাকরি হারানো কর্মীদের ২১ শতাংশ এখনো তাদের পাওনা বুঝে পাননি।
আজ (শনিবার) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি ও সজাগ কোয়ালিশনের আয়োজনে পোশাক খাতে সুশাসন নিয়ে সংলাপে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংলাপে বলা হয়, করোনাকালে কারখানায় কাজের চাপ আগের চেয়ে বেড়েছে। সেই সঙ্গে হয়রানিও বেড়েছে অনেক। অথচ কারখানা কর্তৃপক্ষের অন্যায্য আচরণের বিরুদ্ধে কথাও বলতে পারেন না প্রায় ৭০ শতাংশ শ্রমিক। চাকরি হারানো কিছু শ্রমিক আবার কাজ ফিরে পেলেও তাদের বেশির ভাগকেই আগের চেয়ে কম বেতনে কাজ করতে হচ্ছে। শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, শ্রমিক ইউনিয়েনে যুক্ত হওয়ায় বহু শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে সংলাপে ছাঁটাই কর্মীদের পাওনা পরিশোধের তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমাদের শ্রমিক শ্রেণির যা পাওনা তা যেন আমরা দেই।
তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগে যে প্রোডাক্টে আমরা ১৫ ডলার পেতাম, এখন তা ১১-১২ ডলারে নেমে গেছে। এ অবস্থায় টিকে থাকাটা কঠিন। এই কথা শুনে মনে হবে এটা মালিকপক্ষের কথা কিন্তু এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন