দেশব্যাপী সাতদিনের বিধি-নিষেধ শুরু: অপ্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে শাস্তি, দুর্ভোগে পোশাক কর্মীরা
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i94018-দেশব্যাপী_সাতদিনের_বিধি_নিষেধ_শুরু_অপ্রয়োজনে_বাইরে_বেরিয়ে_শাস্তি_দুর্ভোগে_পোশাক_কর্মীরা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় দেশব্যাপী সাতদিনের বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে। এদিকে বৃষ্টিমূখর আষাঢ়ের দুর্যোগ। এ অবস্থায় বেশীরভাগ মানুষ আজ ঘর থেকে বের হয় নি। কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে মহানগরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি রয়েছেন র‍্যাব, বিজিবিও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যেও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হয়ে গ্রেপ্তার, জরিমান গোনা বা রাস্তায় দাড় করিয়ে রাখার শাস্তি পেতে হয়েছে অনেককে। খোদ রাজধানীতে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে এরকম শাস্তি দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ০১, ২০২১ ১৯:১৩ Asia/Dhaka

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় দেশব্যাপী সাতদিনের বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে। এদিকে বৃষ্টিমূখর আষাঢ়ের দুর্যোগ। এ অবস্থায় বেশীরভাগ মানুষ আজ ঘর থেকে বের হয় নি। কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে মহানগরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি রয়েছেন র‍্যাব, বিজিবিও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যেও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হয়ে গ্রেপ্তার, জরিমান গোনা বা রাস্তায় দাড় করিয়ে রাখার শাস্তি পেতে হয়েছে অনেককে। খোদ রাজধানীতে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে এরকম শাস্তি দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বলেছেন, শাস্তি দেওয়া বা জরিমানা আদায় তাদের উদ্দেশ্য নয়।  জণসাধারণকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে বাধ্য করতেই এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। চলমান এই লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই গার্মেন্টস কারখানা। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গার্মেন্টস কারখানা খোলা রেখে শ্রমিকদের পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে আসার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে দারুণ দুর্ভোগে পড়েছেন এসব পোশাক কর্মীরা। 

গার্মেন্টস কারখানা অধ্যুষিত রাজধানীর মিরপুর এলাকায় আজ সকাল থেকেই কারখানাগামি শ্রমিকদের ঢল লক্ষ্য করা গেছে। গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে ভোগান্তি মাথায় নিয়ে বৃষ্টির মাঝে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে আসতে  হচ্ছে তাদের। এসময় একজন গার্মেন্টস কর্মী ক্ষোভের সাথে বলেন,  ‘আপনাদের করোনা হবে দেখে সারাদেশ বন্ধ করা হয়েছে। তাহলে আমরা পোশাক শ্রমিকরা কি মানুষ না? আমাদের বন্ধ দেয় না কেন সরকার? আমাদেরকে মানুষ মনে করলে আমরাও আজ বাসায় থাকতাম। করোনার সময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে আমাদের কাজের সময়ও বাড়িয়েছে। আগে রাত ৮টায় বাড়ি যেতাম আর এখন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছুটি পাবো। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না।’

রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভার-আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয়ভাবে গণপরিবহন চালু রয়েছে। আর শ্রমিকদেরকেও  বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ভাড়া গুনে গাদাগাদি করে এ সব গণপরিবহনে চড়তে হচ্ছে ।

চট্টগ্রামের চিত্র

কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার বন্দরনগর চট্টগ্রাম প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাটে রিকশা ও মোটরসাইকেল ছাড়া অন্যান্য যানবাহন তেমন নেই। মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা গেলেও তা তুলনামূলকভাবে কম। আর ঘর থেকে বেরিয়ে জরিমানা গুনতে হয়েছে কাউকে কাউকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, অকারণে ঘরের  বাইরে আসার  কারণে তাঁদের জরিমানা করা হয়েছে।

কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে বন্দর নগরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসেছে। বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসনের নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বরত আছেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরা নগরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন। পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিও দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া, নগরের বিভিন্ন মোড়ে রেডক্রিসেন্টের সদস্যদের মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে এবং করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে মাইকিং করতে দেখা গেছে।

নগর পুলিশের উপকমিশনার বিজয় বসাক গণমাধ্যমকে বলেন, মানুষ তুলনামূলকভাবে ঘর থেকে কম বেরিয়েছেন। যেহেতু সবকিছু বন্ধ, তাই রাস্তাঘাটে মানুষ কম। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পোশাক কারখানার শ্রমিকদের যাতায়াত নিয়ে একটু ঝামেলা ছিল। অনেক কারখানা গাড়ির ব্যবস্থা করেনি। এ কারণে পোশাককর্মীদের হেঁটে ও রিকশায় কারখানায় যেতে হয়েছে। এতে অনেক স্থানে জটলা ছিল।#

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/বাবুল আখতার /১