বাংলাদেশে লকডাউন শুরু, কঠোর অবস্থানে প্রশাসন: ঢাকাফেরত মানুষ দুর্ভোগে
(last modified Fri, 23 Jul 2021 12:31:39 GMT )
জুলাই ২৩, ২০২১ ১৮:৩১ Asia/Dhaka

মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পবিত্র ঈদুল আজহা শেষে আজ (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ বা  লকডাউন। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মাঠে আছে সেনাবাহিনী।

ঈদের পর সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আজ রাজধানীতে কম সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বেড়িয়েছেন। তবে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে রাজধানীতে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন যারা বাইরের জেলা থেকে দূরপাল্লার বাসযোগে বা নৌপথে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন তারা। যানবাহন না পেয়ে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে, রিকশায় বা ভ্যানগাড়ী চেপে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে এসব মানুষকে। 

এদিকে, সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। কারণ দেখাতে না পারলে মামলা দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহণকে। কোনো ধরনের শিথিলতা দেখানো হচ্ছে না। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম মহানগরীতেও লকডাউন কার্যকর করতে নামানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উল্লেখ্য, এবারে বিধিনিষেধ চলাকালে ‘অতি জরুরি’ প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। তাছাড়া, শপিং মল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট, সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকছে।

এ সময় সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কাজ ভার্চ্যুয়ালি সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

পা হেঁটে ঢাকায় ফিরছেন অনেকেই

তবে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্পও এই বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।

আজ সকাল থেকে দৌলতদিয়া এবং মাওয়া ঘাটে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার ও অন্যান্য) চলাচল বন্ধ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ফাইল ফটো

এদিকে, লকডাউনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে। এ কয়দিন বাজারে সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল দেখা গেলেও এখন প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে বহুগুণ।

শহরের বিভিন্ন বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত শাক-সব্জির দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু আজ লকডাউন শুরু হওয়ায় পাইকারি বাজারে প্রত্যেকটি সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

তারা আরও জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেই সবজির গাড়িগুলো এসে ঢাকায় পৌঁছাতে পারে নি। রাজধানীতে চাহিদা প্রায় আগের মতো থাকার পরেও যোগানে ঘাটতি হওয়ার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তারা আশাবাদী কয়েকদিনের মধ্যে দাম কমে আসবে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।