বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের নতুন ধরন শনাক্ত, রক্তক্ষরণজনিত সংকটসহ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i96624-বাংলাদেশে_ডেঙ্গু_রোগের_নতুন_ধরন_শনাক্ত_রক্তক্ষরণজনিত_সংকটসহ_আক্রান্ত_হচ্ছে_শিশুরা
বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। যার নাম সেরোটাইপ থ্রি বা ডেনভি ৩। আর এই ধরনের ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ঢাকার রোগীরা। করে ডেনভি-৩ আক্রান্ত হয়ে রক্তক্ষরণ জনিত সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়ছে রোগী।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
আগস্ট ২৯, ২০২১ ১৮:৫৮ Asia/Dhaka

বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। যার নাম সেরোটাইপ থ্রি বা ডেনভি ৩। আর এই ধরনের ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ঢাকার রোগীরা। করে ডেনভি-৩ আক্রান্ত হয়ে রক্তক্ষরণ জনিত সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়ছে রোগী।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ডেঙ্গু ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য উন্মোচন করে আজ রোববার (২৯ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানিয়েছে। 

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ মুন্সি বলেন, দেশে প্রথম এই ধরন শনাক্ত হয় ২০১৭ সালে। ২০১৭ সালের আগে ডেনভি-১, ২-তে আক্রান্ত হয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে অনেকের। কিন্তু ডেনভি-৩ এর বিরুদ্ধে এই ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। যারা আগের দুই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত তারা নতুন করে ডেনভি-৩ আক্রান্ত হলে হেমোরেজ বা সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়েছে।

তিনি বলেন, বিসিএসআইআরের এই সিকোয়েন্সিং ভবিষ্যতে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়ক হবে। এবার ডেঙ্গুর ডেনভি-৩ ভ্যারিয়েন্টে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এটা ডেনভি-১,২ এর চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় এবং আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়। যদিও ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভাইরাসের ১টি মাত্র নমুনার জিনোম  সিকোয়েন্স করা হয়, সেখানে সেরোটাইপ-২ শনাক্ত হয়।

এবার নতুন ধরনের ডেঙ্গুতে শিশুদের সংক্রমণের ঘটনা বেশী হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে। সে কারনে শিশুদের জ্বর দেখা  দিলেই দ্রুত হাসপাতালে নেবার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকগণ। প্রতিবছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যায় এবং এটি বাংলাদেশে সংক্রaমক  রোগের মধ্যে অন্যতম। যদিও বাংলাদেশে ১৯৬৪ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী চিহ্নিত হয়,  তবে ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশে মহামারি আকার ধারণ করে।

সরকারি হিসেবে বছরের শুরু থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪১ জন। এবছর এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৮ হাজার ৪১৫ জন রোগী।

শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল নাগাদ সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এক হাজার ১১১ জনে। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৬৭ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৪৪ জন।#

 

পার্সটুডে// আব্দুর রহমান খান/বাবুল আখতার/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।