প্রেসিডেন্ট রায়িসি সারা বিশ্বের মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন: পাক সেনা প্রধান
https://parstoday.ir/bn/news/event-i138074-প্রেসিডেন্ট_রায়িসি_সারা_বিশ্বের_মুসলমানকে_ঐক্যবদ্ধ_করার_চেষ্টা_করেছিলেন_পাক_সেনা_প্রধান
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফিস স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরির সাথে টেলিফোনে কথোপকথনে জোর দিয়ে বলেছেন যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট রায়িসি ইরানের জন্য নয় বরং সমগ্র মুসলিমদের জন্য গৌরব ও সম্মানের ছিলেন। তার সমস্ত প্রচেষ্টা ছিল বিশ্বের সমগ্র মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ করা। তাই আমরা এবং পাকিস্তানের জনগণ এই বিরাট ক্ষতির বিষয়টি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মে ২৮, ২০২৪ ১৩:১৮ Asia/Dhaka
  • পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ জেনারেল আসিম মুনির
    পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ জেনারেল আসিম মুনির

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফিস স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরির সাথে টেলিফোনে কথোপকথনে জোর দিয়ে বলেছেন যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট রায়িসি ইরানের জন্য নয় বরং সমগ্র মুসলিমদের জন্য গৌরব ও সম্মানের ছিলেন। তার সমস্ত প্রচেষ্টা ছিল বিশ্বের সমগ্র মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ করা। তাই আমরা এবং পাকিস্তানের জনগণ এই বিরাট ক্ষতির বিষয়টি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি।

প্রেসিডেন্ট রায়িসি তার ক্ষমতায় থাকাকালে ইরানের জনগণের সেবায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন উল্লেখ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ জেনারেল আসিম মুনির আরো বলেছেন, ২১ এপ্রিল, যখন আয়াতুল্লাহ রায়িসি পাকিস্তান সফর করেন, তখন আমি তার সাথে দেখা করি এবং রায়িসি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে তিনি দুই দেশের মধ্যকার সমস্ত প্রতিশ্রুতি মেনে চলবেন, বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় তিনি বদ্ধপরিকর। কেননা এটিকে দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও বন্ধুত্বের সীমানা বলা হয়।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যাপক সক্ষমতা ও সুযোগ সুবিধা থাকায় তেহরান ও ইসলামাবাদ সবসময়ই ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বিস্তারে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক পাকিস্তান সফর, যা এদেশের জনগণ ও সরকার ব্যাপকভাবে স্বাগত জানিয়েছিল, তা দুই মুসলিম দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে এবং নিঃসন্দেহে সম্পর্ক উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্টের পাকিস্তান সফরে সম্পর্কের উন্নয়নে আগামীতে বিরাট দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আব্বাস খাতক এ প্রসঙ্গে বলেছেন: "ইরান-পাকিস্তান সম্পর্ক মুসলিম বিশ্বে একটি মডেল এবং কৃষি, জ্বালানি, নির্মাণ প্রকৌশল এবং গাড়ি নির্মাণসহ সমস্ত ক্ষেত্রে বিরাজমান সক্ষমতাকে ব্যবহার করা হবে। ইরান-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়ন শুধু মুসলিম দেশগুলোর অবস্থানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে তাই নয় একই সাথে এটি ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্টসহ অন্য শহীদের লক্ষ্য পূরণ করবে।

তাই, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ জেনারেল আসিম মুনির জোর দিয়ে বলেছেন, তার দেশের সরকার, সশস্ত্র বাহিনী এবং জনগণ সবসময় ইরানের সরকার, জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর পাশে আছে এবং থাকবে। এই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো সুযোগ বাইরের কাউকে দেয়া হবে না।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল বাকেরিও বলেছেন যে আয়াতুল্লাহ রায়িসির পাকিস্তান সফর ছিল শহীদ প্রেসিডেন্টের শেষ বিদেশ সফর এবং তিনি এই সফর সম্পর্কে অনেক ইতিবাচক ও আনন্দের স্মৃতি বর্ণনা করেছেন। কেননা তিনি প্রায় তিন বছরের শাসনকালে পাকিস্তানের সাথে সর্বাত্মক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সীমান্তকে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে পরিণত করার ওপর জোর দিয়ে আসছিলেন।

বাস্তবতা হলো, ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্টের সরকারের নীতি ছিল প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং তিনি তা গুরুত্বের সঙ্গে অনুসরণ করেছেন। তাই এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তেহরান ও ইসলামাবাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আগ্রহের কারণে  দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আগের চেয়ে আরো মজবুত হবে। তবে একই সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি বলে দুই দেশের কর্মকর্তারা মনে করেন।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।