জুন ১৫, ২০২৪ ০৯:৫১ Asia/Dhaka
  • ইয়েমেনের হুথিদেরকে কীভাবে শক্তিশালী করতে হয় তা জানা আছে: ইরান

ইয়েমেনের প্রতিরোধ আন্দোলনকে পরাজিত করার মার্কিন ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে কী কী করতে হয় তা ইরানের ভালো করে জানা আছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ইরানি মিশন শুক্রবার এক ঘোষণায় এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

মার্কিন সরকার সম্প্রতি অভিযোগ করেছে, লোহিত সাগরে ইসরাইল-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে হামলা চালানোর কাজে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে অর্থনৈতিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা করে যাচ্ছে ইরান। ওয়াশিংটন আরো অভিযোগ করেছে, ইয়েমেনের ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও হুথিদেরকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে তেহরান।

এর জবাবে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন এক বিবৃতিতে আরো বলেছে, আমেরিকা ভাবছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব ও সামরিক শক্তি থাকার কারণে সে  ইয়েমেনের হুথি আন্দোলনকে কোণঠাসা ও পরাজিত করতে পারবে।  বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আমেরিকা মনে করছে ইরান তার ভয়ে ভীত হয়ে হুথিদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন  কিংবা নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করবে।

ইরানের স্থায়ী মিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, কিন্তু না, ইরান তার কোনোটিই করবে না। বরং ইরান যেটি করবে সেটি হচ্ছে, দেশটি এমনভাবে মার্কিন ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে যাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন না করেই ইয়েমেনের হুথি আন্দোলনকে আরো বেশি শক্তিশালী করা যায়।  আর সেটি কীভাবে করতে হয় তা ইরানই ভালো জানে।

আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্ররা বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক আইন ও ইয়েমেনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে দেশটির হুথি আন্দোলনের অবস্থানগুলোর ওপর বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।  গত অক্টোবর থেকে ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের শিকার গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে হুথিরা ইসরাইল-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে হামলা চালানো শুরু করার পর থেকে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে বোমাবর্ষণ শুরু করে যা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে।

এর জবাবে হুথিরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এ ধরনের হামলা চালিয়ে গাজার সমর্থনে সামরিক অভিযান চালানো থেকে তাদের বিরত রাখা যাবে না। তারা আরো বলেছে, সাগরে ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে সেদিন হামলা বন্ধ হবে যেদিন ইসরাইল গাজায় গণহত্যা বন্ধ করবে। #

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর১৫

ট্যাগ