‘শান্তি আলোচনা চাইলে রুশ ভাষাভাষী অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে’
https://parstoday.ir/bn/news/event-i138704-শান্তি_আলোচনা_চাইলে_রুশ_ভাষাভাষী_অঞ্চল_থেকে_সেনা_প্রত্যাহার_করতে_হবে’
ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষী যেসব অঞ্চলের জনগণ গণভোটের মাধ্যমে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হয়েছে সেসব অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য কিয়েভের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মস্কো।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুন ১৭, ২০২৪ ১৫:০৮ Asia/Dhaka
  • ‘শান্তি আলোচনা চাইলে রুশ ভাষাভাষী অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে’

ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষী যেসব অঞ্চলের জনগণ গণভোটের মাধ্যমে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হয়েছে সেসব অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য কিয়েভের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মস্কো।

রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রোববার মস্কোয় এক বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণের এসব অঞ্চল থেকে কিয়েভকে সেনা প্রত্যাহার করার জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেন সরকারের উচিত তা মেনে নেয়া। আর তাহলেই শান্তি আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পেসকভ বলেন, এক সময় [ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট] ভলোদিমির জেলেনস্কি শান্তি প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বহুবার দাবি করেছেন, ক্ষমতা ধরে রাখার কোনো ইচ্ছে তার নেই বরং তিনি মাতৃভূমির স্বার্থ রক্ষা করতে চান। এবার দেখা যাবে তিনি পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য কী করেন।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় নিয়ে সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যখন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বৈঠকে মিলিত হয়েছেন তখন এসব কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র।

এর দু’দিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, তার দেয়া পূর্বশর্ত মেনে নেয়া হলে কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসবে মস্কো। তিনি বলেন, ইউক্রেন সরকার ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের পাশাপাশি দোনেস্ক, লুগানস্ক, খেরসন ও ঝাপোরোজ্জিয়া অঞ্চলকে রুশ ভূখণ্ডের অন্তর্গত বলে মেনে নিলে শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে। এসব অঞ্চলের জনগণ গণভোটে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে বলে রাশিয়া দাবি করে আসছে। তবে কিয়েভ ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/১৭