যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে ইউক্রেন: ন্যাটোর স্বীকারোক্তি
এশিয়ায় ন্যাটোর উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাশিয়া ও ইউরোপীয় ন্যাটোর ট্রাম্প-ভীতি
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ন্যাটো জোটের বিস্তারের চেষ্টায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ন্যাটো জোট কেবল ইউরোপে নয় সারা বিশ্বে তার কর্তৃত্বকামী ভূমিকা রাখতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও প্রভাব বিস্তার ও নানা জোট গঠনের চেষ্টা করছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ইউরো-এশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই অঞ্চলে অন্য অঞ্চলের সেনা উপস্থিতি সীমিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন গত জুলাই মাসে (১৪ জুলাই)।
এদিকে সম্প্রতি ন্যাটো জোট উত্তর-কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সহযোগিতাকে ইউরোপের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কো-পিয়ংইয়ং-এর সামরিক সহযোগিতা গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে ন্যাটোর নতুন মহাসচিব মার্কি রুটে মন্তব্য করেছেন। তিনি কথিত এই হুমকির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া দেখাতে বিশ্ব-সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জার্মানিও এই দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছে, ইউরোপের যেসব দেশ ন্যাটোর সদস্য সেইসব দেশের প্রতিরক্ষার জন্য বাজেট বাড়ানো উচিত। ইউরোপীয় ন্যাটোর জাতীয় আয়ের মাত্র দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা বাজেটে বরাদ্দ করা হচ্ছে বলে জার্মানি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ওদিকে পুন-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউরোপের জন্য অনিরাপদ হতে পারেন বলে ন্যাটো জোটের কোনো কোনো বিশ্লেষক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ ট্রাম্প কখন কি করে বসেন তা বলা যায় না-আর এটাই হল তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। নিউজউইকও সম্প্রতি লিখেছে, ট্রাম্প আবারও হোয়াইট হাউজে ফিরে আসায় ইউরোপীয় ন্যাটোর জন্য সংকট অত্যাসন্ন হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন ও সহায়তা যাতে না কমে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায় ইউরোপ।
ওদিকে মার্কিন সাময়িকী ফরেন পলিসি সম্প্রতি লিখেছে, ন্যাটো জোট স্বীকার করেছে যে ইউক্রেন যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে। ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি খুব দ্রুত এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। ফলে ট্রাম্পকে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ইউরোপ। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।