জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে গণহত্যা চলছে
গাজায় একদিনের ইসরাইলি পাশবিকতায় আরো ৪৯ অসহায় ফিলিস্তিনির শাহাদাত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাস্তুহারা অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলা থামছেই না। গতকাল (শনিবার) এই উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে দখলদার সেনাদের বোমাবর্ষণে অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
কাতারের আল-জাযিরা টিভি জানিয়েছে, মূলত উত্তর গাজার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শনিবার হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। গাজা সিটির পশ্চিমে শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলে আশ্রয় গ্রহণকারী অসহায় মানুষদের ওপর হামলার ফলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে চালানো ওই হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত ও অপর ২০ জনেরও বেশি আহত হয়।
এছাড়া, মধ্য গাজার দুই শরণার্থী শিবির আর-বুরেইজ ও আন-নুসেইরাতের কয়েকটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। পাশাপাশি এই উপত্যকায় খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ঢুকতে না দিয়ে সেখানকার মানবিক পরিস্থিতিকে সংকটময় করে তুলেছে তেল আবিব।
কিন্তু তারপরও ইহুদিবাদী সরকার একথা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে যে, ১৩ মাসের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়েও তারা তাদের গাজা যুদ্ধের ঘোষিত লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে পারেনি। হামাসকে ধ্বংস করে গাজা থেকে নিজেদের পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া ছিল এই উপত্যকায় আগ্রাসন চালানোর পেছনে ইহুদিবাদী সরকারের ঘোষিত দু’টি প্রধান লক্ষ্য।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।