মার্কিন দ্বৈত নীতি উন্মোচন
এইচটিএস ‘সন্ত্রাসীদের’ সাথে আলোচনার জন্য সিরিয়ায় মার্কিন প্রতিনিধি দল
সিরিয়ার ক্ষমতা দখলকারী হায়াতে তাহরির আশ-শাম বা এইচটিএস-এর সাথে সরাসরি আলোচনার জন্য আমেরিকা একটি শীর্ষ পর্যায়ের কূটনৈতিক দল পাঠিয়েছে। এর আগে আমেরিকা এইচটিএস-কে সন্ত্রাসী বলে তালিকাভুক্ত করেছিল। সেই গোষ্ঠীর সাথে এখন আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠানোর মধ্য দিয়ে মূলত আমেরিকা কথিত সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে নিজের দ্বৈত অবস্থান পরিষ্কার করল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমেরিকার কর্মকর্তারা এইচটিএস শাসকদের সাথে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ ভীষণ নিয়ে কথা বলবেন এবং আমেরিকা এক্ষেত্রে তাদেরকে কিভাবে সাহায্য করতে পারে সে বিষয়টিও তারা জানতে চাইবেন। মার্কিন প্রতিনিধি দলে রয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক কর্মকর্তা বারবারা লিফ এবং ড্যানিয়েল রুবিনস্টেইন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, এইচটিএস-এর সাথে আমেরিকার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। এরপর মার্কিন প্রতিনিধি দল সিরিয়া সফরে গেল।
মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গকে ব্লিংকেন বলেছিলেন, “সিরিয়ার ক্ষমতা দখলকারী এইচটিএস-এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ থাকা এবং তাদের সাথে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। এতে আমরা বুঝতে পারব তারা কোথায় যেতে পারে এবং কোথায় তারা যেতে চায়। আগামী দিনগুলোতে আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নেব।”
২০১১ সালের পর এই প্রথম আমেরিকার পক্ষ থেকে দামেস্কে কোনো কূটনৈতিক মিশন পাঠানো হলো। ২০১১ সালে বিদেশি মদদপুষ্ট তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সিরিয়ায় বর্বর তাণ্ডব শুরু করে। সেই সময় আমেরিকা সন্ত্রাসীদের বিরোধিতা করলেও প্রকৃতপক্ষে তারা চাতুরতার আশ্রয় নেয় এবং পেছনে থেকে তারাই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিতে থাকে যাতে প্রেসিডেন্ট বাসার আসাদের পতন হয়।#
পার্সটুডে/এসআইবি/জিএআর/ ২০