সশস্ত্র সংঘর্ষের পর দামেস্কসহ সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি
https://parstoday.ir/bn/news/event-i145244-সশস্ত্র_সংঘর্ষের_পর_দামেস্কসহ_সিরিয়ার_বিভিন্ন_শহরে_কারফিউ_জারি
সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় তারতুস শহরে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র ব্যক্তিদের সংঘর্ষে বেশ কিছু মানুষ হতাহত হয়েছে। সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সেদেশের গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার তারতুসের সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ১২ সদস্য নিহত এবং অপর ১০ জন আহত হয়েছে।  
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪ ০৯:৫০ Asia/Dhaka
  • সশস্ত্র সংঘর্ষের পর দামেস্কসহ সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি

সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় তারতুস শহরে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র ব্যক্তিদের সংঘর্ষে বেশ কিছু মানুষ হতাহত হয়েছে। সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সেদেশের গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার তারতুসের সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ১২ সদস্য নিহত এবং অপর ১০ জন আহত হয়েছে।  

লাতাকিয়া ও হোমস’সহ সিরিয়াজুড়ে বেশ কয়েকটি বড় শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর এ সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেল। হোমসের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ গুলি চালালে অন্তত একজন বিক্ষোভকারী নিহত ও কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর এসেছে।

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরে অবস্থিত আলাভি জনগোষ্ঠীর একটি মাজারে হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রাজধানী দামেস্কের পাশাপাশি হোমস ও জাবলেহ’সহ আরো কিছু শহরে কারফিউ জারি করেছে সিরিয়ার ক্ষমতাসীন নয়া প্রশাসন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলার ভিডিওটি নতুন নয় বরং গত মাসের শেষ নাগাদ আলেপ্পো শহর দখলের সময় সেটি ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে প্রশাসনের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে বলা হয়েছে, সিরিয়ার জনগণের মধ্যে বিভেদ ও দাঙ্গা বাধিয়ে দেয়ার জন্য অজ্ঞাত কোনো গোষ্ঠী মাজারে হামলা চালিয়েছে।

গত ২৭ নভেম্বর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আশ-শাম বা এইচটিএস। পরবর্তীতে ৮ ডিসেম্বর তাদের হাতে দামেস্কের পতন ঘটে এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন।

এইচটিএসের নেতৃত্বাধীন নয়া প্রশাসনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের দিন অজ্ঞাত কোনো গোষ্ঠী মাজারটিতে হামলা চালায়। ওই হামলায় মাজারের পাঁচ কর্মী নিহত হন এবং মাজারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। জাবলেহ শহরের একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, মাজারে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।