গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানানোই অপরাধ
আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা
-
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন বা এফটিও’র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করে আনসারুল্লাহকে এফটিও’র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গতকাল (মঙ্গলবার) এ খবর জানিয়ে আনসারুল্লাহর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে, আনসারুল্লাহ পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে মার্কিন সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠতম মিত্রদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। সেইসঙ্গে তারা আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ বৈধ আন্তর্জাতিক ব্যবসা করার অজুহাতে আনসারুল্লাহর মতো ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর’ সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় যাক সেটা আমরা সহ্য করব না।
এর আগে ট্রাম্প গত জানুয়ারি মাসে হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তিনি ইয়েমেনের জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করে গাজার প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহারে বাধ্য করার জন্য আঞ্চলিক প্রক্সি দেশগুলোকে কাজে লাগানো হবে বলে ঘোষণা দেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় আগ্রাসনে চালালে এই উপত্যকাবাসীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা শুরু করে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন। তারা প্রথমে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী ইসরাইল অভিমুখী জাহাজগুলোতে হামলা চালায়।
এরপর ইসরাইলের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করতে শুরু করে। জানুয়ারি মাসে ইহুদিবাদী ইসরাইল হামাসের সঙ্গে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করেছে তাতে তেল আবিবকে বাধ্য করার পেছনে আনসারুল্লাহ আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।