যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে হেনস্থা, গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্ন
(last modified Wed, 05 Mar 2025 11:19:16 GMT )
মার্চ ০৫, ২০২৫ ১৭:১৯ Asia/Dhaka
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে হেনস্থা, গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্ন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্থা এবং পরবর্তী সহিংস ঘটনায় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে হামলার শিকার হন ব্রাত্য বসু। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল। এ বিষয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেছেন, ‘এত বড় ঘটনা স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের শিক্ষা নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিভাবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এত জমায়েত হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন, ‘‘গোয়েন্দারা ব্যর্থ হলে আগামী দিনে প্রতিবেশী দেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। সেটা তো হতে দেওয়া যায় না। ওই ভিড় সম্পর্কে পুলিশের গোয়েন্দারা জানতে না পারে ভবিষ্যতে আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’’

যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় দুই পড়ুয়াও জখম হন। তাঁদের এক জন চোখে আঘাত পান। অন্য জন চোট পান পায়ে। শনিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার পর রাতেও অশান্তি ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনার পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করছে না। যাদবপুরের ঘটনায় সব মিলিয়ে সাতটি এফআইআর রুজু হলেও পুলিশ বাম ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ নিচ্ছে না।

তার প্রেক্ষিতেই আজ হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়,  "সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।" জবাবে আদালত জানিয়েছে, মামলাকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করতে হবে পুলিশকে।

সেই মামলাতেই যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন রাজ্য ও মামলাকারী দু’পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে হবে।#

পার্সটুডে/এমএআর/৫